
শিলচরে গ্রেফতার ৪ বাংলাদেশী, আরবিয়ান টাকার লোভ দেখিয়ে ঠকানোর অভিযোগ
ভারতের দু’লক্ষ টাকা দিলে সৌদি আরবের একলক্ষ টাকা পাইয়ে দেবে, কারণ একলক্ষ সৌদি রিয়ালের ভারতীয় মূল্য ১৯ লক্ষ টাকা। এই লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে ঠকানোর একটি চক্র চালাতো পাঁচ বাংলাদেশী নাগরিক। ২০১৬ সাল থেকে তারা কাজটি করে আসছে, এবার শেষমেষ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। রবিবার বাশকান্দি এলাকার কিছু মানুষের অভিযোগ উপর ভিত্তি করে তাদের আটক করে পুলিশ।
পাঁচজনের দলের চারজনকে ধরতে পেরেছে পুলিশ একজন এখনো ফেরার। ধরা পড়া চার ব্যক্তি বাংলাদেশের ঢাকা সংলগ্ন গোপালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তাদের নাম হচ্ছে, রিপন খান (৩২), মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (৩৯), সুমন ফকির (৩০) এবং জামাল মুন্সি। ফেরার ব্যক্তিটির নাম কবির মোহাম্মদ সরদার।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী এরা সবাই বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে তাই বিদেশী তকমা লাগানো যাবে না। তাদের ধরা হয়েছে সৌদি আরবের টাকা লোভ দেখিয়ে বরাক উপত্যকার বিভিন্ন এলাকার মানুষকে ঠকানোর অভিযোগে। শিলচর সদর পুলিশ স্টেশনের তরফে জানানো হয়েছে, এরা ২০১৬ সাল থেকে প্রায়ই ভারতে আসছে, প্রতি দুই মাসে একবার ভারতের ভিসা নিয়ে আসতো। তারা রাঙ্গিরখাড়ি এলাকায় মনসা হোটেলে থাকতো। বিভিন্নভাবে গ্রামাঞ্চলে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে লোভ দেখাতো এবং যারা তাদের ফাঁদে পা দিতেন তাদের ঠকাতো। তাদের সঙ্গে আরো মানুষ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশ তাদের সূত্র ধরে এই ব্যাপারে অনুসন্ধান করছে। তারা মানুষের কাছে পরিচয় দিত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে এবং বিভিন্ন কোম্পানির সিম ব্যবহার করত। তাদের কাছ থেকে বেশকিছু মোবাইল এবং এটিএম কার্ড ইত্যাদি পাওয়া গেছে। সঙ্গে পাওয়া গেছে কিছু ফেক আরবিয়ান টাকাও।
তারা পুলিশের কাছে প্রথমে বলে ভারতে মূলত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে এসেছে। তাদের কাছে চিকিৎসার ও বিভিন্ন ফেক নথিপত্র রয়েছে। সবকিছুই অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে এবং আগামীতে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের তরফে মামলা গ্রহণ করা হবে।
একদল সচেতন নাগরিকের বিচক্ষণতার দরুনই এদের আটক করা সম্ভব হয়েছে। তারা এই দুষ্টচক্রের যোগসূত্রটি পুলিশকে জানিয়েছেন এবং খুব সুন্দর ভাবে জাল পেতে এদের আটক করা হয়েছে। পুলিশ সাধারণ মানুষকে এই বিচক্ষনতার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছে।
Comments are closed.