গাড়ি চোর চক্রের কুখ্যাত দুই পান্ডা গ্রেফতার; বরাকে রয়েছে গাড়ির মডেল বদলের গোপন কারখানা !
উপত্যকা জুড়ে ত্রাস সৃষ্টিকারী গাড়ি চোর চক্রের দুই পান্ডাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলো বাজারিছড়া পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড, আরসি বুক, সিম কার্ড প্রভৃতি বিভিন্ন নথিপত্র। ধৃতদের মঙ্গলবার সিজেএম আদালতে তোলা হলে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ধৃত দুজন হলো বাজারীছড়া থানাধীন ছলামনা গ্রামের জমির আলীর পুত্র ওয়াহিদ আলী (২৮) ও বারইগ্রামের হরিশচন্দ্র চা-বাগানের সবুর রহমানের পুত্র আকলিছুর রহমান শামীম(২৫) । বরাক উপত্যকার বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট গাড়ি-বাইক সহ বিভিন্ন যানবাহন তথা যানবাহনের ব্যাটারি চুড়িতে এরা সিদ্ধহস্ত। পুলিশি জেরায় ওরা স্বীকার করে যে, অনেকদিন ধরেই বরাকের বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক ছোট-বড় যানবাহন চুরি করে বিভিন্ন স্থানে কম দামে বিক্রি করে আসছে তারা। তাদের সিন্ডিকেট পাতারকান্দি, চেরাগী, মৈনা, বারইগ্রাম, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, শিলচর মনিপুর, মিজোরাম ভৈরবী পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। চুরি করা গাড়ি গুলোকে ওরা বাংলাদেশ পর্যন্ত পাচার করে দেয়।
চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি হচ্ছে বরাকের মাটিতে রয়েছে দুটি গাড়ির মডেল পরিবর্তন করার গোপন কারখানা। এখানে চুরির গাড়িকে রং বদল করা সহ গাড়ির চেসিস নাম্বার পর্যন্ত বদল করে দেওয়া হয় ইতিমধ্যে তারা ছোট-বড়-মাঝারি সহ প্রায় আটটি গাড়ি চুরি করে বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন যানবাহনের মালিকদের ছবিসহ আরসি বুক ও উদ্ধার করেছে। তাদের সাম্প্রতিকতম চুরির ঘটনা হলো শিলচর থেকে AS-11 CC-6471 নম্বরের অটোরিকশা চুরি।
সোমবার সন্ধ্যায় ওয়াহিদ আলী স্থানীয় করিখাই গ্রাম থেকে বিপুল রায় নামের এক ব্যক্তির গাড়ি থেকে ব্যাটারি চুরি করতে গেলে জনতার হাতে ধরা পড়ে। উত্তম-মধ্যম দিয়ে জনতা পুলিশের হাতে সমঝে দেয়। তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বারইগ্রাম এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয় তার সহযোগী শামীমকে। এই চক্রের অন্যান্য অপরাধীদের ধরতে পুলিশ জাল বিছিয়ে রেখেছে, পুলিশ আশা করছে শীঘ্রই আরো রাঘববোয়ালরা ধরা পড়তে পারে।
Comments are closed.