Also read in

শহরের সোনাই রোড থেকে গ্রেপ্তার চার জন ,কাছাড় পুলিশ আইপিএল জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে; কিংপিনের সন্ধান চলছে

শিলচরে অবৈধ জুয়া জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, এই জুয়ার বেশিরভাগই অনলাইনে হয়ে থাকে। তাই, এই জুয়াড়িদের ধরার জন্য রাস্তা খুব কমই থাকে; কিন্তু সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলি দেউলিয়া হয়ে যায়।

শিলচরে আইপিএল জুয়া কিভাবে জাল বিস্তার করছে তা নিয়ে সম্প্রতি বরাক বুলেটিন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। কাছাড়ের পুলিশ সুপার রমণদীপ কৌর স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, জেলা পুলিশ এই অসামাজিক কার্যকলাপের দিকে নজর রাখছে এবং সন্দেহজনক কিছু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেই অনুযায়ী, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ সোনাই রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই চার জন – পল্লব দেব, মান্না দাস, বিজিত কংস বনিক এবং দিব্যজ্যোতি ভট্টাচার্যকে আদালতে হাজির করা হয়। সূত্র অনুসারে, দাস এবং বণিক শারীরিক অসুস্থতার অভিযোগ করায় তাদেরকে দ্রুত শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর দেব এবং ভট্টাচার্যকে জেলে বন্দী করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, তারা সেই এজেন্টদের সঙ্গে রয়েছে যারা বাজি সংগ্রহ করে এবং তাদের বসের কাছে পাঠায়। কিছু এজেন্ট স্থানীয়ভাবে কাজ করছে, তবে শিলচর এবং আসামের বাইরেও তাদের বস আছে। এমন একজন ব্যক্তি, যিনি জুয়াড়িদের কাছ থেকে বাজি সংগ্রহ করতেন, চেন্নাইতে রয়েছেন।

“জয় -পরাজয় নিয়ে বাজি ছাড়া ও কাস্টমাইজড প্যাকেজ আছে যেমন, পাঁচ ওভারের পর রান, পাঁচ ওভারের পর উইকেট, টুর্নামেন্ট বিজয়ী, সেরা ব্যাটসম্যান, সেরা বোলার। এমন কিছু লোক আছে যারা খোয়ানো টাকা ফেরত পাবার জন্য ওভারে ওভারে রানের উপর বাজি ধরে। টাকা গুগল পে বা অন্য অনলাইন মোডে হস্তান্তর করা হয় এবং একই মোডের মাধ্যমে জমা ও হয়। কখনও কখনও, ২ লক্ষ টাকার ও বেশি বাজি ধরা হয়,” সচেতন সূত্র জানিয়েছে।

এমন একটি উদাহরণ রয়েছে যেখানে একজন লোক ভুল বাজি ধরে দোকান সমেত সমস্ত সম্পত্তি হারান। তারপরে তিনি সেই ক্ষতি পূরণের জন্য ছুটতে শুরু করেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে গভীর ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন।

গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে একজনের শীঘ্রই বিয়ে হওয়ার কথা, আটকা পড়ায় এখন তার বিয়ে ও প্রশ্নচিহ্নের মুখে। মনে রাখতে হবে, কেউ সহজে টাকা পেতে চাইলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হয় বিশাল।

Comments are closed.