চাকরির লোভ! লক্ষীপুরের মুন্নার ফুসলানিতে পালিয়ে মুম্বাইয়ে উধারবন্দের দুই যুবতী, ফিরিয়ে আনল পুলিশ
বরাক উপত্যকার শিক্ষিত যুব সমাজ চাকরি পাচ্ছেনা, এর প্রভাব সমাজের কতটা গভীরে গিয়ে পৌঁছেছে সেটা একেবারেই আঁচ করতে পারছেন না সরকার পক্ষের প্রতিনিধিরা। কাজের খুঁজে বেপরোয়া হয়ে বড়সড় দুষ্ট চক্রের কাছাকাছি পৌছে গেছিল উধারবন্দের দুই যুবতী। শেষমেষ তাদের উদ্ধার করেছে পুলিশ এবং জেলায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
লক্ষীপুরের মুন্না নামের এক যুবকের কথায় বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন দুই যুবতী। তাদের বয়ানে জানা গেছে, মুন্না কাজের লোভ দেখিয়ে তাদের ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে পালাতে বলেছিল এবং শেষমেষ তাদের মুম্বাই নিয়ে যায়। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ফিরিয়ে এনেছে কিন্তু মুন্না এখনও পলাতক। সে দুই যুবতীকে কোনও দুষ্ট চক্রের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনায় ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উধারবন্দের দয়াপুর ও ঠালিগ্রামের বাসিন্দা দুই যুবতী স্নাতক স্তরের ছাত্রী। গত ১৪ জানুয়ারি হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় তারা। অনেক চেষ্টা করেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় পরিবারের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। কাছাড়ের পুলিশ তাদের ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপ ধরে শেষমেষ ট্র্যাক করে, জানা যায় তারা মুম্বাইয়ে রয়েছেন। এরপর মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং তাদের চিহ্নিত করে সেই রাজ্যের পুলিশ। রবিবার মুম্বাই থেকে দুজনকে নিয়ে আসার পর সোমবার পুলিশ তাদের আদালতে পেশ করে। এদিন আদালতে দু’জনের জবানবন্দি নথিভুক্ত করা হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যুবতীরা জানিয়েছে তারা একসময় হন্যে হয়ে কাজ খুজছিল। সেই সময় লক্ষীপুরের মুন্না নামের যুবক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং বড় কাজের সুযোগ করে দেবে বলে লোভ দেখায়। তাঁর কথামতো তারা কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে উধাও হন। সে তাদের অনেক জায়গায় ঘুরিয়ে শেষমেষ মুম্বই নিয়ে যায়। মুম্বইয়ে গিয়ে তারা এক বেসরকারি সংস্থায় কাজে যোগ দিয়েছিল। এবার সেখান থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে দুজনকে।
তবে যুবতীরা এই গল্প শোনালে ও তারা অন্য কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছিলেন কিনা এটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুন্না তাদের ফুসলিয়ে কোনও দুষ্ট চক্রের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল কিনা তদন্তে সেটা বেরিয়ে আসবে। তবে আপাতত মুন্না নিখোঁজ এবং দুই যুবতী এর বেশি কিছু বলতে চাইছেন না।
Comments are closed.