Also read in

দেওয়ালিতে আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা; রাত ৮ টা থেকে রাত ১০ টার মধ্যে শুধু "গ্রিন ক্র্যাকার্স"-এর অনুমতি

আগামী ৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার কালী পূজা এবং দীপাবলি বা দেওয়ালি।‌ তাই আসন্ন দেওয়ালির আগেই আসাম দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সমগ্র রাজ্যব্যাপী বাজি-পটকা ফাটানোর ব্যাপারে এক নির্দেশনা জারি করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, উচ্চমাত্রার বায়ু দূষণ রোধে জনস্বার্থে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমগ্র আসামে গ্রীন ক্রেকার্স ছাড়া অন্য সব ধরনের আতশবাজি ফাটানো এবং বিক্রির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।‌ এই বাজি পটকা ফাটানোর সময় নির্ধারণ করে জানানো হয়েছে, দীপাবলি উৎসবের সময় রাত ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত মাত্র দুই ঘণ্টা এগুলো ফাটানোর অনুমতি রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে অন্যান্য উৎসবে গ্রীন ক্রেকার্স ফোটানোর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, ছট পূজার সময় সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং বড়দিন ও নববর্ষের আগের রাতে ১১-৫৫ থেকে ১২-৩০ পর্যন্ত ।

উপরোক্ত নির্দিষ্ট উৎসবগুলি ছাড়া অন্য কোন উৎসব বা অনুষ্ঠানে বাজি পটকা ফাটাতে হলে সংশ্লিষ্ট জেলা শাসকের আগাম অনুমতি নিতে হবে এবং তা হবে সীমিত সময়ের জন্য (দুই ঘন্টার বেশি নয়)। শুধুমাত্র গ্রীন ক্র্যাকার ব্যবহার করতে হবে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং কমিশনার/পুলিশ সুপারিনটেনডেন্টরা এই নির্দেশাবলী বাস্তবায়ন করবেন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের কাছে দৈনিক পদক্ষেপ নেওয়া রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট জেলার ডেপুটি কমিশনার কর্তৃক অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতে পারে। যাইহোক, কাছাড় জেলার ডেপুটি কমিশনার কীর্তি জল্লি জানিয়েছেন যে, এই নির্দেশিকা অনুসরণ করা হবে কাছাড় জেলায়ও।

২২ শে অক্টোবর, আসামের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, বায়ু (দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৮১ এবং বায়ু (দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) আসাম বিধি, ১৯৯১ এবং এর বিধি ৩৫ এর ধারা ৩১(এ) এর অধীনে নির্দেশাবলী সহ এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে, গত নভেম্বর মাসে জাতীয় গ্রীন ট্রাইব্যুনালের জারি করা নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। জাতীয় গ্রীন ট্রাইব্যুনালের ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল যে, যে আতশবাজি ফাটলে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়, যা দুর্বল লোকের শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং এই ধরনের দূষণকারীরা হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তি ছাড়াও কোভিড-১৯ পজিটিভ ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যের অবস্থাকে আরও সংকটজনক করে তুলতে পারে। তাই বাজি পটকা ফাটাতে হলে প্রদূষণের মাত্রা কম রাখতে গ্রীন ক্রেকার্প এর অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, বিগত দুর্গাপূজার সময় অসম সরকার অনেকগুলি অনুরূপ নির্দেশনা এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ( এস ও পি) জারি করেছিল। তবে, সরকারী নির্দেশাবলীর গুরুতর লঙ্ঘন হয়েছিল, তখন পুলিশ এবং প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এবার দেওয়ালিতে কি হয়, দেখা যাক।

Comments are closed.

error: Content is protected !!