Also read in

ধলাইতে ভয়ঙ্কর যৌন হিংসার ঘটনায় ধর্ষিতা হলেন বিধবা, কাটা গেল আঙ্গুল ও, নিষ্ক্রিয় পুলিশ

আসামের কাছাড় জেলার ধলাই এলাকা থেকে যৌন সহিংসতার একটি মর্মান্তিক ও নৃশংস ঘটনা আবারও সামনে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পুনিহাওয়াই, ধলাইতে; অভিযোগ নথিভুক্ত হওয়ার পর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে, কিন্তু পুলিশ এখনও অপরাধীদের ধরতে পারেনি; অধিকন্তু, নির্যাতিত মহিলা অপরাধীদের কাছ থেকে জীবনের হুমকি এবং ভয়ভীতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

বিধবা মহিলা তার শিশু পুত্রের সাথে একা থাকেন; তার উপর যে জঘন্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল তার হাড় হিম করা বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। ঐ বিধবা মহিলার বর্ণনা অনুসারে, বিদ্যারতনপুর গ্রামের মনিরুদ্দিন ও রিয়াজ নামে দুই ব্যক্তি ২৫ অক্টোবর ভোর ৪ টা নাগাদ ধারালো অস্ত্র সঙ্গে নিয়ে দেয়াল ভেঙ্গে বিধবার বাড়িতে প্রবেশ করে। ঐ মহিলা ও তার ছেলে ঘুমিয়ে ছিলেন, এবং এদের মধ্যে একজন তাকে ধরে নিয়ে যায়। তার ছেলেকে তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয় এবং তাকে হুমকি দেয় যে তারা তার ছেলেকে হত্যা করবে। এদিকে, অন্যরা তাকে যৌন নিপীড়ন করে, এবং তারপর তারা তাকে ছুরি দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে; এই প্রক্রিয়ায় ঐ মহিলা তার বাম হাতের চারটি আঙ্গুল হারান।

“আমার নিজের কেউ নেই, আমার বাবা-মা অনেক আগেই মারা গেছেন, এমনকি আমার স্বামীও নেই, আমি আমার ছেলের সাথে একা থাকি। তারা এখন আমার আঙ্গুল কেটে ফেলেছে; এইভাবে নিপীড়নের শিকার হয়ে আমি কিভাবে বেঁচে থাকব? আমি কিভাবে আমার ছেলেকে বাঁচাবো?” চোখের জল আটকানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। “তারা (অপরাধীরা) সচ্ছল পরিবারের; তারা পুলিশকে টাকা দিয়েছে, তাই পুলিশ অপরাধীদেরও গ্রেপ্তার করতে পারেনি,” অভিযোগ করেছেন ঐ মহিলা। তিনি আরও জানান, শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে ভিক্ষা করে অসহায় জীবন কাটাচ্ছেন তিনি, তার শ্লীলতাহানিকারীরা তাকে পুলিশি মামলার বিষয়ে হুমকি দিয়েছে এবং তাকে বাড়ি ফিরে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে। তিনি এদেরকে ভয় পান কারন তিনি একা থাকেন। তিনি কিছু সম্পত্তির মালিক, তাই তারা হিংসা এবং ভয় দেখিয়ে তার সম্পত্তি দখল করতে চাইছে ওরা।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB) দ্বারা প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, আসাম সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সর্বোচ্চ হারের রিপোর্ট করেছে পরপর তিন বছর (২০১৬-১৯) । আসামের নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের হার ভারতীয় গড় থেকে অনেক বেশি ।

Comments are closed.