Also read in

সুস্থ হয়েছেন জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত সাজিবুর রহমান, তাকে মুক্ত করতে শিলচর আসছেন হিমন্ত

সুস্থ হয়ে উঠছেন কাছাড় জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত সাজিবুর রহমান, বেশ কয়েকটি টেস্টের পর তাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আজ দুপুর ১টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিজে এসে তাকে মুক্ত করবেন। তিনি বরাক উপত্যকার প্রথম করোনা সুস্থ ব্যক্তি।

গতকাল শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন সাজিবুর রহমানের ইতিমধ্যে তিনটি টেস্ট হয়েছে, তৃতীয় টেস্টে পজিটিভ এলেও তার শারীরিক পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি অ্যাসিম্পটোম্যাটিক, ফলে চতুর্থ বা পঞ্চম টেস্ট তিনি হয়তো করোনা নেগেটিভ হয়ে যাবেন।

বড়খলা বিধানসভার রাণীঘাট এলাকার পেলাডহর গ্রামের প্রাক্তন বিএসএফ কর্মী সাজিবুর রহমান জেলার প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত। তিনি দিল্লির নিজামুদ্দিন মরকজে অংশ নিয়েছিলেন। ৪ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা টুইটে খবরটি জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিভাগের তরফে জানানো হয়, ১৯ মার্চ দিল্লি থেকে জেলায় ফেরেন এবং বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন প্রাক্তন বিএসএফ কর্মী সাজিবুর রহমান।

২ এপ্রিল অসুস্থ অবস্থায় শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার তার লালা পরীক্ষা হয় এবং সন্ধ্যেবেলা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সাজিবুর রহমান ২০০৭ সালে অবসর নিয়েছেন। দিল্লিতে নিজামউদ্দিনের মরকজে অংশ নিয়ে ট্রেনে বাড়ি ফেরেন তিনি। ১৯ মার্চ বাড়িতে ফিরে সেখানেই ছিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রাথমিকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। একসময় শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে ডাক্তাররা তার প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর শনিবার তার লালা পরীক্ষা করানো হয় এবং সন্ধেবেলা রিপোর্টে ধরা পড়ে তিনি কভিড ১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত।

সাজিদুর রহমানের গ্রাম পেলাডহর প্রায় পুরোপুরিভাবেই সিল করে রাখা রয়েছে। কোনও বাইরের ব্যাক্তি গ্রামে প্রবেশ করতে পারছেন না এবং গ্রামের কেউও বাইরে বের হতে পারছেন না।শুক্রবার জেলা প্রশাসনের একটি দল গ্রাম পরিদর্শন করেছে। এমন অবস্থায় জেলা প্রশাসন গ্রামে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী এবং ঔষধ পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা শুক্রবার গ্রাম পরিদর্শন করে দেখেছেন, সেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি খুব সাবধানে লকডাউন পালন করছেন।

Comments are closed.