ভালো গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে উৎকোচ গ্রহণ স্কুল কর্মচারীর
বরাক উপত্যকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে অনেক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের তালিকায় এবার যোগ হলো ভালো গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে উৎকোচ গ্রহণের ঘটনা। শিলচর সরকারি বালিকা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুটি ছাত্রীকে ভাল গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে নগদ টাকা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়া ছাত্রীরা অভিযোগ করেছে যে স্কুলের কার্যালয়ে কর্মরত ধীরেশ দাস তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা নিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, তাদেরকে পরীক্ষায় ভালো গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তিনি টাকা গ্রহণ করেছেন। যদিও তিনি প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এদিকে ধীরেশ দাস অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে পরীক্ষায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদনকারী দুই শিক্ষার্থীর অনুরোধে তিনি অর্থ গ্রহণ করেন। দাস আরো জানান যে, প্রতিশ্রুতি মতো যেহেতু তিনি তার কথা রাখতে পারেননি, তাই তিনি বেশিরভাগ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। তিনি বিষয়টি সম্পর্কে বলেন,”আমি তাদের টাকা ফেরত পাঠিয়েছি। যদিও ১৫০০ টাকা এখনো আমার সঙ্গে রয়েছে কিন্তু সে টাকাও আমি ফেরত পাঠিয়ে দেব।”
স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল নিবেদিতা চৌধুরীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেন। তবে তিনি নিশ্চিত করে বলেন, এরকম কিছু ঘটে থাকলে অবশ্যই ন্যায্য বিচার হবে।
তিনি বলেন,“আমি এখনো বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পারিনি, বিষয়টি অবশ্যই আমরা স্কুলের গভর্নিং বডির সামনে রাখব এবং তার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায়, অতীতেও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত টিইটি ও স্কুল শিক্ষকদের জন্য ডিএলএড পরীক্ষার সময়ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।
উচ্চতর কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে জড়িত হতে পারেন বলেও জনগণ সন্দেহ করছেন।
Comments are closed.