পাথারকান্দিতে ভয়ঙ্কর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ত্রিপুরার তিন ব্যক্তি, গুরুতর আহত এক
সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ করিমগঞ্জ থেকে আগরতলা যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কালভার্টে ধাক্কা মারে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক। ঘটনাস্থলেই চালক সহ তিনজন ব্যক্তির মৃত্যু হয় এবং একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পাথারকান্দি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর অনুযায়ী এরা তিনজনেই ত্রিপুরা বাসিন্দা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির নম্বর হচ্ছে এনএল-০১-কে-৪০৯৮।
পাথারকান্দির ওসি সঞ্জীব তেরাং জানিয়েছেন, মৃত তিন ব্যক্তিরা হলেন নৃপেন্দ্র শব্দকর, রবীন্দ্র শব্দকর এবং বিক্রম দেব। তিনি বলেন, “করিমগঞ্জ থেকে আগরতলা যাওয়ার পথে পাথারকান্দির কোনাগ্রাম এলাকায় একটি পুরনো কালভার্টে ধাক্কা মারে সিমেন্ট ভর্তি গাড়িটি। চালক সহ আরো কয়েকজন লোক এতে যাচ্ছিলেন। সম্ভবত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি কালভার্টে ধাক্কা দিয়েছে। প্রচন্ড জোরে শব্দ হওয়ায় এলাকাবাসীরা দ্রুত সেখানে পৌঁছান এবং দেখতে পান কয়েকজন ব্যক্তি গুরুতরভাবে হতাহত। তারা আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন এবং একজন নিহত ব্যক্তির মৃতদেহ সেখান থেকে তুলে আনেন। “তবে বাকি মৃতদেহগুলো তুলে আনতে অসুবিধে হচ্ছিল, ফলে আমরা এসডিআরএফ দলকে খবর দিই। তারা এসে অনেক কষ্টে মৃতদেহগুলো তুলে আনেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এদের শনাক্ত করা হয়েছে। ত্রিপুরায় স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয়া হয়েছে তারা যাতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিবারের সদস্যরা এসে শনাক্ত করলে মৃতদেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
সম্ভবত কুয়াশা এবং বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের জন্যই ঘটনাটি ঘটেছে, তবে এতে স্থানীয় কোনও ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হননি। পুলিশ আধিকারিকরা স্থানীয় ব্যক্তিদের তৎপরতার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, “গভীর রাতে এমন দুর্ঘটনার পরেও এক ব্যক্তিকে জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন এলাকাবাসীরা। এটা অবশ্যই একটি মানবতার উদাহরণ। দুর্ঘটনার পর গাড়ি এমন জায়গায় পড়ে গেছিল, এতে মৃতদেহ উদ্ধার করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমরা বারবার চালকদের বলি দ্রুত গাড়ি না চালাতে। রাতের বেলা খালি রাস্তায় বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় দ্রুত গাড়ি চালাতে গিয়ে হয়তো এমন দুর্ঘটনার শিকার হলেন তাঁরা।”
Comments are closed.