Also read in

কেন্দ্রীয় স্তরে বনধ সকাল ১১টা থেকে ৩টা হলেও কাছাড়ে ১২ ঘন্টাই বনধ পালন করবেন সমর্থকরা

কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। প্রথমে ১২ ঘন্টার বনধ ঘোষণা হলেও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কেন্দ্রীয় স্তরে এই বনধের সময়কে সীমিত করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য এলাকায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্তই বনধ পালিত হবে। তবে কাছাড় জেলায় সকাল ৫ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত হচ্ছে বনধ, হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত বদল করা মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় সর্মথকরা।

সোমবার সন্ধ্যে বেলা কেন্দ্রীয় স্তরে বনধকে সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে কৃষকদের আন্দোলনের মাধ্যমে যাতে কোনওভাবেই সাধারণ মানুষ অসুবিধার সম্মুখীন না হন, এই কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। তবে কাছাড় জেলার বনধ সর্মথকরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত তারা বদল করতে পারছেন না, সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। তাই জেলায় বন্ধ সকাল ৫টায় শুরু হবে এবং সন্ধ্যে ৫টা পর্যন্ত চলবে।

কাছাড় জেলায় বনধ সর্বাত্মক করে তুলতে ১২ টি শ্রমিক ও কৃষক সংগঠন সোমবার পথে নামে। আইএনটিইউসি, এআইইউটিইউসি, এআইসিসিটিইউ, এআইটিইউসি, অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন, টিইউসিসি, এআইকেএস, টিইউসিসি(কাছাড়), এনটিইউআই, ইডব্লিউটিসিসি, ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি, এআইকেকেএমএস ইত্যাদি সংগঠনের পক্ষ থেকে সোমবার শিলচরে যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলার সমস্ত দোকান-পাট, হাট-বাজার, ওফিস-আদালত, যানবাহন, স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া এদিন সংগঠনগুলি শিলচরের ক্ষুদিরাম মূর্তির সামনে থেকে এক বিশাল মিছিল করে রাঙ্গিরখাড়ি পয়েন্ট পর্যন্ত যান। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেকটি সমর্থনকারী সংগঠনের সদস্যরা। তারা জানিয়েছেন বনধে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষক বিদ্রোহের সমর্থন আসছে। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ছাপ ফেলেছে দেশের কৃষকদের এই প্রতিবাদ। দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি চলচ্চিত্র জগৎ থেকে শুরু করে ক্রীড়া জগৎ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। ৯ ডিসেম্বর ফের কৃষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে কৃষি আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়টি নিয়েই আগামী ৯ তারিখ কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন কেন্দ্রের মন্ত্রীরা।

Comments are closed.