
কোভিড পরীক্ষা না করিয়েই পালিয়ে গেলেন আরও শ'খানেক বিমানযাত্রী
গত বুধবার থেকে কুম্ভিরগ্রাম বিমানবন্দর সংলগ্ন শালগঙ্গা টিকল মডেল হাসপাতালে শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্বের বাইরে থেকে আসা প্রত্যেক বিমানযাত্রীর বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষা। প্রথম দিন ৩৮৫ জন যাত্রী পরীক্ষা না করিয়েই বাড়ি ফিরে গেছিলেন। এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সত্যওয়ান। তবে শুক্রবার একইভাবে পরীক্ষা না করিয়ে পালিয়ে গেলেন আরও শখানেক যাত্রী। এতে অত্যন্ত কঠোর মনোভাব নিতে চলেছে প্রশাসন। সুমিত সত্যওয়ান জানিয়েছেন, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, কাউকে ছাড়া হবে না।
স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সুমন চৌধুরী শুক্রবার সন্ধ্যেবেলা জানান, এদিন মোট ৫১১ যাত্রী শিলচর বিমানবন্দরে আসেন। এরমধ্যে ৭৬ জন উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছিলেন বলে তাদের পরীক্ষা করতে হয়নি। বাকি যাত্রীদের মধ্যে ৩৩৭ জন পরীক্ষা করিয়ে নেন এবং তাদের মধ্যে আটজনের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া যায়। তবে ৯৮ জন যাত্রী পরীক্ষা না করিয়েই ফিরে যান। এতে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। যদি বাধ্যতামূলক পরীক্ষা করাতেই হয় তাহলে যাত্রীরা কিভাবে পালিয়ে যেতে সমর্থ হচ্ছেন? প্রথম দিন যারা পরীক্ষা করাননি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে চিঠি লেখা এবং তাদের তালিকা তুলে ধরা ছাড়া এখনও কোনও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ গড়ে ওঠেনি এবং অন্য যাত্রীরা আবার পালিয়ে যাওয়ার সাহস পেয়েছেন।
অন্যদিকে যাত্রীদের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে, প্রথমত অনেকের প্রশ্ন, তারা কেন অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দেবেন। তবে তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে টেস্টিং সেন্টারে একে-অন্যের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকছে না, পালন হচ্ছে না অন্যান্য সুরক্ষা নিয়মও। অনেকেই মনে করছেন কোভিড পরীক্ষা করাতে গিয়ে তারা সংক্রমনের আওতায় আসতে পারেন। এসব বিষয় খতিয়ে দেখে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না নিলে হয়তো আগামীতে এই অব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
Comments are closed.