পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে ধর্মঘটী নার্সদের পুলিশে দিল শিলচর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ
সমস্ত রাজ্যব্যাপী নার্সদের ধর্মঘট আজ তৃতীয় দিনে পড়ল। দুদিন চুপচাপ থাকার পর আজ তৃতীয় দিনে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কড়া পদক্ষেপ নিলেন। পুলিশ ডেকে এনে পিকেটিংরত নার্সদের গ্রেফতার করানো হলো। আন্দোলনরত সকল নার্সদের গ্রেফতার করে ভরাখাই হাইস্কুলে নিয়ে রাখা হয়েছিল, সন্ধ্যার পর প্রায় সাড়ে ছটায় ওদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে আমাদের প্রতিনিধি শিলচর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল বাবুল বেজবরুয়ার কাছে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বললেন, “বাইরে থেকে নার্স এনে এবং ছাত্রদের নিয়ে আমরা চালাচ্ছিলাম, ওরা জোর করে অন ডিউটি নার্সকে ওয়ার্ড থেকে বের করে দিচ্ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল, বাধ্য হয়ে পুলিশ ডাকতে হল। মূল সমস্যা হল, বাচ্চাদের ওয়ার্ড থেকে নার্সদের বের করে দিচ্ছিল। এখন নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ আছে, এই অবস্থায় এই ধরনের আন্দোলন চলতে পারে না। ওরা পিকেটিংয়ের সময় ওয়ার্ড থেকে কর্তব্যরত নার্সদের বের করে দিচ্ছে। তাছাড়া এমনিতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না।”
আন্দোলনকারী একজন সিনিয়র নার্স আদিমা মজুমদার আমাদের প্রতিনিধিকে জানালেন, “আমাদের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার হল আজ, পুলিশ ডেকে এনে আমাদের ঠেলা ধাক্কা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়। আগামীকাল আমরা আরও জোরদার ভাবে এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
এখানে উল্লেখ্য, সারা আসাম জিএনএম নার্স সংস্থা তাদের চার দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছে ২৬ নভেম্বর থেকে । তাদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে, স্টাফ নার্সদের সমপদের সম বেতন, সপ্তম বেতন আয়োগের প্রকাশিত আরওপি’তে স্টাফ নার্সের বেতন বিসংহতি সংশোধন করা, জিএনএম স্টাফ নার্স এর পদবী বহাল রাখা, স্টাফ নার্সের চাকুরি বিধি প্রকাশ করা।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আন্দোলনকারীদের সাথে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য আগামীকাল সকাল ১১টায় দিসপুর জনতা ভবনে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
Comments are closed.