Also read in

মুখ্যমন্ত্রীর বরাক সফরে আবারও প্রতিশ্রুতি, জনগণের পাশে আছে সরকার

বুধবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেছেন, এনআরসি ইস্যুতে জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই কারণ সরকার ইতিমধ্যেই সব সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী শিলচর পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে এক মহিলা সমারোহে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, যদি কারোর নাম অপ্রত্যাশিতভাবে এনআরসির দ্বিতীয় খসড়ায় না থাকে (৩০জুলাই প্রকাশিত হওয়ার কথা) তাহলেও মানুষের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই, কারণ তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হবে।

নারীর ক্ষমতায়ন এবং বরাক উপত্যকা সম্পর্কে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, উন্নতির লক্ষ্যে উপত্যকায় নারীদের এগিয়ে আসতে হবে এবং নিজেদের উন্নয়নের জন্য তাদের পুরুষের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার উভয়ই দেশের নারীদের অভাবনীয় উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পগুলির মাধ্যমে উভয় সরকারই নারীর ক্ষমতাকে শীর্ষ স্থানে পৌঁছনোর লক্ষ্যে বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও এবং কনকলতা মহিলা সবলীকরণ প্রকল্প চালু করেছে ।

তিনি বরাক উপত্যকাটিকে দেশের জন্য একটি সুন্দর উপহার হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা সমগ্র দেশের মানুষের কাছে বিশেষ করে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্পদগুলির জন্য অতুলনীয় হয়ে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার প্রথম দিন থেকে উপত্যকার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সাধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাজ্যের দুটি কাগজ কলের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি কেন্দ্রের ভারী শিল্প এবং জন উদ্যোগ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের দৃষ্টিতে এই বিষয়টি নিয়ে এসেছেন এবং মিলের শ্রমিকদের এবং তাদের পরিবারের করুণ অবস্থা সম্পর্কে তাকে অবহিত করান। সঙ্গে এও বলেন যে তিনি আশা করছেন উভয় মিলকে শীঘ্রই পুনরুজ্জীবিত করা হবে।

এছাড়া, সোনোয়াল এদিন বন বিভাগের অনলাইন রাজস্ব ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করেন। তিনি স্বনির্ভর নারীদের জন্য কনকলতা মহিলা সবলীকরণ তহবিলের অংশ হিসেবে চেক প্রদান করেন। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে এই প্রকল্পের অধীনে, শিলচর লোকসভা কেন্দ্রে ২৩৯২ টি এসএইচজি প্রাথমিকভাবে আর্থিক সুবিধার অধিকারী হবে।

পরিবার কল্যাণ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, এক অসাধু চক্র সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে এবং এই সুযোগে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করারও চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন যে সরকার রাজ্যের সব সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সাধারণ মানুষকে এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

এদিকে শিলচর শহরের উন্নয়নের জন্য ২০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সেই সঙ্গে শিলচর জেলা গ্রন্থাগারের পরিকাঠামো পরিবর্তন করে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য ২৬ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।

অন্যান্যদের মধ্যে এদিন রাজ্যের বন, পরিবেশ ও মৎস্য বিভাগের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরাকায়স্থ, দিলীপ কুমার পাল, কিশোর নাথ, আমিনুল হক লস্কর, অমর চাঁদ জাইন এবং মিহির সোম সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

Comments are closed.