Also read in

বিয়ের আসর থেকে 'বাল্যবধূ'কে উদ্ধার করল চাইল্ডলাইন, শিলচর

বিয়ের সময় একটি মেয়ের বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হওয়া উচিত, এটাই দেশের আইন। যাইহোক, গ্রামে এবং কখনও কখনও শহরেও মেয়েদের ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায় এবং তাও বরের বয়স দ্বিগুণ, তিনগুণ… ; কাছাড় জেলায় এমন দুটি ঘটনা সামনে এসেছে।

বড়খলা থানার অন্তর্গত বুড়িবাইল তৃতীয় খণ্ডে গতকাল ১৬ বছর বয়সী এক মেয়ের বিয়ে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে। চাইল্ডলাইন – ১০৯৮ তথ্যটি পায় এবং জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের লিগেল কাম প্রবেশন অফিসার পারভিন আক্তার মজুমদার এবং আউটরেজ কর্মী বিদ্যুৎ নাথের নেতৃত্বে একটি দল চাইল্ডলাইনের কর্মকর্তা এবং ভাঙ্গারপার পুলিশ টহল পোস্টের কর্মীরা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে নববধূর বাড়িতে পৌঁছায়।

“বরের বাড়িতে একটি পার্টি চলছিল এবং উপস্থিত ব্যক্তিরা প্রথমে কিছুটা প্রতিরোধের সাথে আমাদের অভ্যর্থনা জানায়। আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে জানা গেছে যে, মেয়েটির বয়স মাত্র ১৬ বছর। তবে, তার বয়স এখনও যাচাই করা হয়নি যার জন্য আমাদের নথি গুলির উপর নির্ভর করতে হবে। পরিবারটি ১৬ নভেম্বর নথিপত্র পেশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে,” বলেছেন জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের লিগেল কাম প্রবেশন অফিসার পারভিন আখতার মজুমদার।

উদ্ধারকারী দলটি এই নাবালিকা বিবাহের কাণ্ডে জড়িত উভয় পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছিল যে, কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না এবং কনেকে হোমে নিয়ে যাওয়া হবে। মজুমদার বলেন, এক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করেছেন। “মেয়েটি তার বিয়ের পোশাক পরেছিল এবং পরিবারের সদস্যরা নববধূর সাজ পাল্টে তাকে আমাদের কাছে নিয়ে এসেছিল। কোনও অঘটন কিছু ঘটেনি,” অফিসার জানিয়েছেন।

পারভিন আক্তার মজুমদার যোগ করেন, “মেয়েটির বিবৃতি অনুসারে, তাদের মধ্যে আগে থেকেই একটি সম্পর্ক ছিল যার ফলে বিবাহের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে তারা তাদের নিজ নিজ পরিবারকে জানিয়েছিল এবং তারপর উভয় পক্ষের সম্মতিতে তাদের এই সামাজিক বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল,” যোগ করেন পারভিন আক্তার মজুমদার। এই ক্ষেত্রে বর একজন ২৯ বছর বয়সী পুরুষ।

বাল্যবিবাহের এটাই একমাত্র ঘটনা নয়। ১০৯৮ চাইল্ডলাইনের শিলচর টিম ১৫ নভেম্বর অরুণাচল পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীদের নিয়ে শ্রীকোনা এলাকার পাথারিগ্রাম রাজনগরের একটি বাড়িতে গিয়েছিল। এই ঘটনায় কনের পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিল যে এক ব্যক্তি তাদের নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।

“যখন আমরা বাসভবনে পৌঁছলাম, তখন এটি খোলা ছিল ভিতরে কেউ ছিল না । আমরা সন্দেহ করছি যে, তারা আমাদের আসার খবরে পালিয়ে গেছে। এখানেও কনেটি নাবালিকা বলে অভিযোগ রয়েছে,” যোগ করেন মজুমদার। তিনি কাছাড় জেলার জনগণকে ১০৯৮ ডায়াল করার জন্য অনুরোধ করেন। “এটি টোল-ফ্রি নম্বর এবং যখনই কোন শিশুর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ হয় বা বাল্যবিবাহের মতো ঘটনা নজরে তখন এই নাম্বারে অভিযোগ জানান।” তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, অভিযোগকারীর পরিচয় কোনো অবস্থাতেই প্রকাশ করা হবে না এবং নাম প্রকাশ না করার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হবে।

Comments are closed.