Also read in

করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সিআইডি হানা, আটক ৩

 

করিমগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সিআইডি হানা দিয়েছে। তিন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে সন্দেহের আবর্তে আটক করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া সিআইডি আধিকারিকদের সঙ্গে ডিআইজি দিলীপ দে, জেলাশাসক আনবামুথান এমপি এবং পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক কুমারের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হচ্ছে বলেও শোনা গেছে।

সূত্র মতে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলা প্রথমে করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয় সিআইডির আধিকারিকরা হানা দেন। এর পিছনে প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারির যোগসুত্র থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে নানান তথ্য পাওয়া গেছে এবং তাদের অতিরিক্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সার্কিট হাউসে রাখা হয়েছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারিতে বরাক এবং ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম জড়িয়েছে। সম্প্রতি করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার কুমার সঞ্জিৎ কৃষ্ণাকে শাস্তিমূলকভাবে বদলি করা হয়েছে বলেও কথা উঠেছিল। তার বিরুদ্ধে নানান তথ্য ও প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। যেহেতু পুরো প্রক্রিয়া এখনও তদন্তের অধীনে, তাই সরকারিভাবে কোনও বক্তব্য আসেনি। এমনকি সিআইডির পক্ষ থেকেও কোনও বয়ান জারি করা হয়নি।

কুমার সঞ্জিৎ কৃষ্ণা রাজ্যের মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণার ভাই। সঞ্জয় কৃষ্ণা মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এব্যাপারে একটি সাফাই তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, “কুমার সঞ্জিৎ কৃষ্ণার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার যাতে নিরপেক্ষ তদন্ত হয় এবং দোষী সাব্যস্ত হলে তারপর যাতে শাস্তি হয় এটা আমি চাই। শুধুমাত্র রাজ্যের একটি বিশেষ পদে রয়েছি বলে তদন্তের প্রক্রিয়া প্রভাবিত করতে আমার কোনও যোগদান নেই। তবে সংবাদমাধ্যমে কেউ কেউ আমার দিকে আঙুল তুলেছেন এটা ভুল।”

প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারি জনসমক্ষে আসায় মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল কঠোর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিআইডি আধিকারিকরা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তদন্ত করছেন। অনেকের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এতে আরো কিছু রাঘব বোয়ালদের নাম জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

Comments are closed.