Also read in

ভাষা শহিদ স্টেশন, শিলচরের শ্রী ফেরাতে স্মারকলিপি ভাষা শহীদ স্টেশন শহিদ স্মরণ সমিতির

 

ভাষা শহিদ স্টেশন শহিদ স্মরণ সমিতি শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীবা রায়কে ‘ভাষা শহিদ স্টেশন শিলচর’ এর সৌন্দর্যায়ন এবং এর সম্মান উদ্ধার কল্পে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে। স্মারকলিপি প্রদান করে সমিতির পক্ষ থেকে শিলচরে সফররত উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় সঞ্জীবা রায় এই দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত প্রকাশ করেন বলে জানা যায়। তিনি এই প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি দেন।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সমিতি এ বিষয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্তের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের প্রধান ডি আর এম কে স্মারকলিপি প্রদান করে। কিন্তু এব‍্যাপারে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সমিতির পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয় যে, স্টেশনের প্রবেশপথের গম্বুজটি কাছাড়ের ঐতিহাসিক ডিমাসা রাজার শিল্পবোধে তৈরি। ২০০৭ সালে ওই গম্বুজটিতে ফাটল ধরে, এর ফলে সংস্কারের নামে টিন লাগিয়ে দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ । এর পর সমিতির প্রতিবাদের উত্তরে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে, এটি অস্থায়ী এবং নিতান্ত কম সময়ের জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ এ ও জানিয়েছিল, ব্রডগেজ স্টেশনের নতুন ভবন পুরনো আদলেই গঠন করা হবে। শিলচরে ব্রডগেজ লাইন স্থাপনের পর বরাক উপত্যকা এবং ত্রিপুরা রাজ্যে অনেক গুলো নতুন স্টেশন তৈরি হয়। প্রায় সব কটিতে অসাধারণ কারুকার্য ও শিল্পকর্ম সহ স্থানীয় ইতিহাসকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এই কাজগুলোতে বিভাগীয় কর্তাদের রুচিবোধের পরিচয় পেলেও শিলচরের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এমনকি পুরনো ফাটল ধরা গম্বুজটি আজও টিন দিয়ে ঢাকা বলে উল্লেখ করা হয়। এই অবস্থায় শিলচর স্টেশনের পুরনো শ্রী ও কাছাড়ের ঐতিহাসিক ডিমাসা রাজবাড়ির আদলে নির্মিত গম্বুজটি সহ শিলচর স্টেশনের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প ঘোষণা করার আবেদন জানানো হয় স্মারকলিপিতে।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় সমিতির সভাপতি বাবুল হোড়, সাধারণ সম্পাদক রাজিব কর ছাড়াও সম্পাদক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত, জিমুত লাল বর্মন, প্রসেনজিৎ বর্মন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments are closed.