দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে করিমগঞ্জ শহর কে রক্ষা করতে একজোট হয়ে মাঠে নামলেন বিজেপি ও কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ
শনিবার সকাল দশটা নাগাদ শহরের টাউন কালিবাড়ির রোডের পাশের বিসর্জন ঘাট দিয়ে কুশিয়ারার জল অস্থায়ী বাঁধ ভেঙ্গে শহরে প্রবেশ করতে শুরু করে, প্রয়াত নেপাল দাসের বাড়িতে কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় বুক জল হয়ে যায়। পরিবারের লোকেরা তড়িঘড়ি পালিয়ে অন্য স্থানে আশ্রয় নেন। ততক্ষনে আশেপাশের দোকান কালী মন্দির জেলা ও দায়রা আদালত চত্বর কে কুশিয়ারার জল গ্রাস করে নেয়; ঐ সমস্ত অঞ্চলের জনগণ নিজেদের নিজেদের সমস্ত জিনিসপত্র ফেলে রেখে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। সমস্ত শহর জুড়ে নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে মাঠে নামেন কংগ্রেস বিজেপির শীর্ষ কর্তারা। উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ এবং বিজেপি জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, উপ-সভাপতি রবীন্দ্র দেব, কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান সুব্রত দেব জনগণের সহায়তায় বিসর্জন ঘাটে বালির বস্তা দিয়ে জল আটকানোর কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেন। প্রশাসনের তরফে অতিরিক্ত জেলা শাসক ধ্রুবজ্যোতি দেব এবং সিআরপিএফ জওয়ান ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
দুই দলের নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পেয়ে জনগণ ক্ষোভ তাদের কাছে ব্যক্ত করেন। নদী ভাঙ্গন রোধ করার ব্যাপারে বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের তরফে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে উদাসীনতার বিরুদ্ধে জনগণ তীব্র ক্ষোভ জানান। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভাগীয় কর্মীদের নিয়ে জল সম্পদ বিভাগের কার্যনির্বাহী অভিযন্তা অচিন্ত্য রায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাকে কাছে পেয়ে জনগণের ক্ষোভ আরো বেড়ে যায়।
তবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ তখন অতিরিক্ত তৎপরতায় বাঁধের উপর মাটির বস্তা দিয়ে জল আটকাতে সক্ষম হন ইতিমধ্যে ঘণ্টাখানেক জল প্রবেশের ফলে টাউন কালিবাড়ি সহ ঐ এলাকার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বসত গৃহে জল প্রবেশ করে।
বর্তমানে ওই এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কর্মী ছাড়াও পুলিশ সিআরপিএফ বিএসএফ প্রভৃতি সংস্থাগুলো নজরদারি বহাল রেখেছে।
পরবর্তীতে কুশিয়ারার জল স্তর কমায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। দলমত নির্বিশেষে সকলে মিলে শহরকে রক্ষা করতে যে প্রয়াস চালিয়ে ছিলেন সাধারণ জনগণ তাতে সন্তোষ ব্যক্ত করেন।
Comments are closed.