পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারত বনধের ডাক দিল কংগ্রেস: বরাকেও প্রভাব পড়বে
পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারত বনধের ডাক দিল কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। বামপন্থী সংগঠনগুলো ইতিমধ্যেই বন্ধের পক্ষে প্রচারে সামিল হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাসের ঊর্ধ্বমুখী দামের চূড়ান্ত ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে বনধ পালন করবে কংগ্রেস’। পেট্রোল থেকে শুল্ক কমানোর দাবিও করেছেন রণদীপ সুরজেওয়ালা। তাঁর কথায়, ”পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটি-র আওতায় আনার দাবি করছে কংগ্রেস। জ্বালানি থেকে কেন্দ্রীয় শুল্কও কমানো হোক। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিক সরকার”। শুধু বিরোধীরাই নয়, ভারত বনধে সামাজিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবীদেরও সামিল হওয়ার আহ্বান করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র।
কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অশোক গেহলট বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের ঘুম ভাঙাতে ভারত বনধ ডেকেছি আমরা। সাধারণ মানুষের উপরে বোঝা চাপিয়েছে এই সরকার।
সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ইতিমধ্যেই জোরদার প্রচার শুরু হয়েছে। বরাক উপত্যকার কংগ্রেসের তিন জেলা সংগঠন ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচারে নেমেছে। বরাক উপত্যকার জনগণকে বনধে সামিল হতে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার গোটা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে কর্মসংস্থানহীন হয়ে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এই সরকার শিল্পপতিদের স্বপক্ষে এবং গরিব কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরদের বিপক্ষে কাজ করে চলেছে । পেট্রোল, ডিজেল এবং অন্যান্য পণ্য সামগ্রী আকাশ ছোঁয়া। এই অবস্থায় জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বনধে শামিল হতে আবেদন জানানো হয়েছে।
এদিকে কাছাড় জেলায় এই বনধ সফল করতে বামপন্থী দল সিপিআই, সিপিআইএম, এসইউসিআই, সিপিআইএমএল এর কাছাড় জেলা কমিটিও জোর প্রচার চালাচ্ছে। সকাল ৫ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলা এই বনধের আওতায় থাকবে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রেল, বিমান, বিভিন্ন যানবাহন, ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর প্রভৃতি। তবে জল-সরবরাহ, সংবাদপত্র, দুগ্ধ সরবরাহ, অ্যাম্বুলেন্স প্রভৃতি আবশ্যিক সেবাগুলি এই বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
Comments are closed.