Also read in

"আসামের কাগজ কলগুলির বিশাল রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বিক্রি করার চক্রান্ত চলছে", অভিযোগ রিভাইভ‍্যাল অ্যাকশন কমিটির

নাগরিকত্ব বিলের প্রেক্ষাপটে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার আড়ালে আসামের কাগজ কলগুলির বিশাল রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বিক্রি করার চক্রান্ত চলছে। বুধবার পাঁচ জন আহ্বায়ক সহ মুখ্য আহ্বায়ক মানবেন্দ্র চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় এই কথাগুলো উল্লেখ করেছে এইচপিসি পেপার মিলস্ অ্যাকশন কমিটি।

কমিটির পক্ষ থেকে প্রেস বার্তায় বলা হয়, আগামী ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি আরোপ হওয়ার আগে কাছাড় ও নগাওঁ কাগজ কলের প্রস্তাবিত রিভাইভ্যাল প্যাকেজ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যদি মঞ্জুরি দেওয়া না হয় এবং সর্বস্তরের ন্যায্য প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া না হয় তাহলে শাসক দলের নির্বাচনী সভায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে। সেইসঙ্গে খুব শিগগিরই তীব্র আন্দোলনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

বরাক সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী কাছাড় কাগজ কল নিয়ে কোনও কথা না বলায় প্রেস বার্তায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রেসবার্তায় আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর চরম অবহেলায় আসামের লক্ষ লক্ষ মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে গুজরাটের টেক্সটাইল উদ্যোগের আধুনিকীকরণের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা, উত্তরপ্রদেশের ঐদ্যোগিক বিকাশের জন্য ষাট হাজার কোটি টাকা, মধ্যপ্রদেশের নেপা পেপার মিলকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ৪৬৯ কোটি টাকা মঞ্জুরি দিয়েছেন।

প্রেস বার্তায় রিভাইভাল অ্যাকশন কমিটির পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, গত চার বছর ৯ মাস কেন্দ্রে ও রাজ্যে দুই বৎসর বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও কাগজ কল নিয়ে কেন কোন তদন্ত হয়নি? প্রায় ১০০ কোটি টাকার কাঁচামাল মজুদ থাকা সত্ত্বেও কাছাড় কাগজ কলকে উৎপাদন রত অবস্থায় আকস্মিকভাবে বন্ধ করা হলো কেন? কাছাড় কাগজ কল বন্ধ হবার সময় যে কাগজের দাম প্রতি মেট্রিক টন ৪০ থেকে ৪৮ হাজার টাকা ছিল, সেই কাগজ এখন কেন বিক্রি হচ্ছে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকায়? ভারতের কাগজের চাহিদা পূরণ করতে কেন কাগজ আমদানি করা হচ্ছে?

এই অবস্থায় রিভাইভাল অ‍্যাকশন কমিটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লক্ষ লক্ষ যুবসমাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ যাতে চিরতরে বন্ধ না হয়ে যায় সেজন্য আপামর জনসাধারণকে তীব্র সংগ্রাম করে তোলার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

Comments are closed.