বাঁশকান্দি নেনা মিয়া স্কুলে এইচএস পরীক্ষায় মেয়েকে শিক্ষকের সাহায্য করার ভিডিও ভাইরাল: অধ্যক্ষ বললেন ষড়যন্ত্র
কাছাড়ের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার একটি বিতর্কিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা পরীক্ষা পরিচালনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। ভিডিওটি গতকাল উচ্চ মাধ্যমিক অ্যাডভান্সড ল্যাঙ্গুয়েজ পরীক্ষার দিনে রেকর্ড করা হয়েছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছে একজন শিক্ষক পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি রূমের ভিতরে ছাত্রীকে উত্তর লিখতে সাহায্য করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কাছাড় জেলার বাঁশকান্দি নেনা মিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
আনোয়ারুল হক বরভূইয়া নামের ওই শিক্ষককে পরীক্ষা কেন্দ্রের ‘সিক রুমে’ মেয়ের প্রশ্নের উত্তর লিখতে সাহায্য করতে দেখা গেছে। মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
এদিকে, বাঁশকান্দি নেনা মিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, এটি বিকাশ পুরকায়স্থ নামে বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষকের ষড়যন্ত্র। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, “আনোয়ারুল হক বরভূইয়ার মেয়ে ‘সিক রুমে’ লিখছিল কারণ কয়েকদিন আগে তার একটি বড় অপারেশন হয়েছে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিকাশ আনোয়ারুলকে জানান যে, তার মেয়ে অসুস্থ বোধ করছে এবং তাকে মেয়ের স্বাস্থ্য খোঁজ নিতে বলেন। সে অনুযায়ী আনোয়ারুল তার মেয়ের দেখাশোনা করার জন্য ঐ রুমে যান এবং তখনই বিকাশ ভিডিওটি রেকর্ড করে এবং সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। এটি বিকাশের দ্বারা একটি ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে করা হয়েছিল।”
ব্যক্তিগত ক্ষোভের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে অধ্যক্ষ উত্তর দেন, “বিকাশ পুরকায়স্থ আমাদের স্কুলের শিক্ষক হলেও তিনি নিয়মিত স্কুলে আসেন না। তিনি মাসে একবার এসে হাজিরা দেন। স্থানীয় জনসাধারণ এবং স্কুল কমিটিও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। নিয়মানুযায়ী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা কোনো শিক্ষককে মোবাইল সঙ্গে রাখতে দেওয়া হয় না। তিনি কেন মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে গেলেন সে নিয়ে আমি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করব এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আনোয়ারুল হক বারভূইয়াকেও সব পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।”
Comments are closed.