করোনা আবহে দুর্গাপূজা নিয়ে ভাবনা প্রশাসনের, শহরের বড় পুজো উদ্যোক্তাদের সাথে বৈঠক
আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বর মহালয়া, শরতের আকাশে ইতিমধ্যেই দেবীর আগমন বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, এবার আশ্বিন মাস মলমাস থাকায় দুর্গাপুজো পিছিয়ে হচ্ছে কার্তিক মাসে। খ্রিস্টাব্দের দিনক্ষণ হিসেবে দুর্গাপূজার মহাসপ্তমী অক্টোবর মাসের ২২ তারিখ, বৃহস্পতিবার।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন পূজা কমিটির কর্মকর্তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় ! দুর্গাপুজো আদৌ হবে কি না, হলে বিধি নিষেধ কি কি থাকবে বর্তমান পরিস্থিতিতে, এই নিয়ে দোটানায় রয়েছেন বিভিন্ন পূজা কমিটির সদস্য-কর্মকর্তারা ।
এই পরিস্থিতিতে কাছাড় জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে মঙ্গলবার এক বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে বড় বড় স্থায়ী পুজো গুলির উদ্যোক্তাদের মতামত প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন, শ্যামানন্দ আশ্রম, ইটখলা দূর্গা মন্ডপ, আর্যপট্টি দুর্গাবাড়ি, ফাটক বাজার কালীবাড়ি, শ্যামানন্দ আশ্রম, ভৈরব বাড়ির মতো স্থায়ী মণ্ডপে আয়োজিত পূজার কর্মকর্তারা সহ কিছু সর্বজনীন পূজার উদ্যোক্তারাও।
অতিরিক্ত জেলা শাসক রাজিব রায়ের পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত ঐ সভায় রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে সমবেত অঞ্জলি প্রদান এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ বন্ধ রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করা হয়। তবে বেশিরভাগ যোগদানকারী কর্মকর্তারা মত প্রকাশ করেন যে, দুর্গাপুজোর আরম্বর কিছুটা কম হলেও যথাবিহিত নিয়ম মেনে পুজো হওয়া উচিত। প্রয়োজনে শুধু পুরোহিত পুষ্পাঞ্জলী দেবেন , প্রতিমা আকারে ছোট হতে পারে, মুষ্টিমেয় কয়েকজন উদ্যোক্তা মিলে পুজো করবেন,শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে পুণ্যার্থী- দর্শনার্থীর সংখ্যা সীমিত করে দেওয়া হোক, তাও যথাবিধি পুজো হওয়া চাই।
প্রশাসনের তরফ থেকে উদ্যোক্তাদের মতামত লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, যা রাজ্য সরকারের কাছে বিচার বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। এরপর রাজ্য সরকারের পরামর্শক্রমে তৈরি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এস ও পি) অনুযায়ী এই শারদ উৎসবের নিয়মকানুন, বিধি নিষেধ জানানো হবে।
Comments are closed.