করোনা আতঙ্ক : হাইকোর্টের নির্দেশে সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলো বার সংস্থার দরজা
গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কাছাড় জেলা বার সংস্থার দরজা। শুধুমাত্র স্বীকৃত আইনজীবীরাই সেখানে ঢুকতে পারবেন, তবে তাদের সব ধরনের কোভিড প্রটোকল মেনে চলতে হবে। গত বছরও একইভাবে করোনা পরিস্থিতিতে বার সংস্থা সাধারণ লোকের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে এই সময়ে যাদের মামলার তারিখ থাকবে, তারা যদি কোনওভাবে সেই সময় উপস্থিত হতে ব্যর্থ হন, তবে আদালতের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হবে না অথবা এক পক্ষে রায় হবে না, এমনটাই জানিয়েছেন জেলা বার সংস্থার সভাপতি নীলাদ্রি রায়।
তিনি বলেন, “গত বছর দীর্ঘ কয়েক মাস বার সংস্থা বন্ধ রাখায় মামলার পাহাড় জমে গিয়েছিল, সেটাই এখনও শেষ হয়নি এবার পরিস্থিতি আবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আইন ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়, কিন্তু তার থেকেও জরুরী হচ্ছে মানুষের প্রাণ রক্ষা করা। ১৯ এপ্রিল গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দেশ আসে, এরপর আমরা বৈঠক করি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাধারণ মানুষের বার লাইব্রেরিতে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাদের মামলার তারিখ রয়েছে, তারা বাইরে নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে যদি কেউ সময় মত নিজেদের মামলা আদালতে পেশ করতে ব্যর্থ হন, অথবা একেবারেই উপস্থিত হতে না পারেন, আদালতের পক্ষ থেকে তাদের মামলা নষ্ট করে দেওয়া হবে না, অথবা একতরফা রায় হবে না। আমরা কাছাড় জেলার মাননীয় জজদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং এই অনুরোধ রেখেছি। তারা আমাদের অনুরোধ রাখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন, ফলে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।”
তিনি আরও বলেন, “যেসব আইনজীবী বার সংস্থার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত, শুধুমাত্র তারাই আসতে পারবেন এবং কাজের ক্ষেত্রেও তাদের পুরোপুরিভাবে কোভিড প্রটোকল মেনে চলতে হবে। সবগুলো গেট বন্ধ করে শুধুমাত্র একটা গেট খোলা রাখা হয়েছে। সেখানে প্রত্যেকের তাপমাত্রা মাপা হবে এবং সেনিটাইজার ও রাখা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবেন না এবং ভেতরে বসতে হলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ভেতরে কাজ করার সময়ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। কেউ যদি সেটা লঙ্ঘন করেন এবং আমাদের চোখে পড়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সম্প্রতি বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেকে সেটা মানবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।”
Comments are closed.