Also read in

কোভ্যাকসিনের বদলে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হল কোভিশিল্ড, আতঙ্কিত শিলচরের ভাই-বোন

শিলচরের তারাপুর চাঁদমারির বাসিন্দা সংগীতশিল্পী সায়ন্তন ভট্টাচার্য এবং তার বোন সাগরিকা ভট্টাচার্য ১১ মে কোভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। কো-উইন অ্যাপের মাধ্যমে নাম লিখিয়ে তারা সেটা নিতে পেরেছিলেন। বলা হয়েছিল ৪২ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। তারা অনলাইনে বারবার খোঁজ রাখছিলেন এবং রবিবার বিকেলে হঠাৎ দেখতে পান হাইলাকান্দির নারায়ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কোভ্যাকসিনের প্রায় ১০০-টি স্লট রয়েছে। তারা নিজেদের নাম বুক করতে সমর্থ হন এবং সোমবার তাদের যেতে বলা হয়। প্রথম ডোজও তারা হাইলাকান্দিতে নিয়েছিলেন। সোমবার নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে লাইন ধরে ডোজ নেওয়ার পর জানতে পারেন তাদের কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে।

সায়ন্তন ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, নির্ধারিত কেন্দ্রে যাওয়ার পর প্রথমেই সেখানে বিশৃঙ্খলা দেখে তারা আঁতকে উঠেন। তবে যেহেতু ৪২ দিন প্রায় হয়ে গেছে, তাই তারা লাইন ধরে ভ্যাকসিন নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। ঠিক সময়ে তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয় কিন্তু এরপরেই আঁতকে উঠেন। কৌতূহলবশত কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন কোন ডোজ দেওয়া হয়েছে? উত্তর আসে, কোভিশিল্ড। কিছুটা প্রতিবাদ করলেও তারা খুব বেশি কথা বলতে সাহস পাচ্ছিলেন না কেননা আশেপাশের পরিস্থিতি সুবিধাজনক ছিলনা। তবে শেষমেশ সাহস করে আবার স্বাস্থ্য কর্মীকে জিজ্ঞেস করেন এবং আবার উত্তর আসে তাদের কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে। তখন তারা জানান যে, তারা তো প্রথম ডোজ কোভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। তখন স্বাস্থ্যকর্মী এটি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন এই বিষয়গুলো প্রকাশ্যে না আনতে। এই কথোপকথন তারা মোবাইলে রেকর্ড করেন।

সায়ন্তন বলেন, “কোভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে জেনেই আমরা ভ্যাকসিন নিতে গিয়েছিলাম। এমনকি যে মেসেজ পাঠানো হয়েছে সেখানেও কোভ্যাকসিনের কথা লেখা আছে। অথচ স্বাস্থ্যকর্মী আমাদের কোভিশিল্ড দিয়েছেন। তারা কেন এমনটা করলেন? এই প্রশ্ন করায় উত্তরে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের শুধুমাত্র কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ অ্যাপের মাধ্যমে কোভ্যাকসিনের স্লট দেওয়া হলেও আদতে অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে কোভিশিল্ড পাচ্ছেন। এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে সেটা আমরা জানি না তবে মনে আতঙ্ক রয়েছে।”

এখন তারা কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নেবেন নাকি কোভ্যাকসিনের কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। উত্তরটা দেওয়ার দায়িত্ব নিশ্চয়ই স্বাস্থ্য দপ্তরের।

Comments are closed.