Also read in

এবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালেও বিনামূল্যে রেপিড এন্টিজেন টেস্ট, প্রথম হাসপাতাল হিসেবে চালু করল গ্রিন হিলস

সম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জেলার প্রায় সবকটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকে বলা হয়েছিল, তারা যেন রেপিড এন্টিজেন টেস্ট পরীক্ষার জন্য সেটআপ তৈরি করেন। ১০ আগস্ট চিঠি পাঠিয়ে তাদেরকে নির্দেশটি জানানো হয়। এই ডাকে সাড়া দিয়ে প্রথম হাসপাতাল হিসেবে আরএটি বুথ চালু করেছে গ্রিন হাসপাতাল। আগামীতে অন্যান্য হাসপাতালগুলো কোভিড পরীক্ষার জন্য বিশেষ জোন তৈরি করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে যারাই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসবেন তাদের রেপিড টেস্ট করিয়ে অতিসত্বর চিকিৎসা ব্যবস্থার যোগান দেওয়া হবে। পরবর্তীতে হাসপাতালগুলোয় করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে কেউ পজিটিভ হলে তাকে সেখানেই চিকিৎসার জন্য রেখে দেওয়া যেতে পারে।

গ্রিন হিলস হাসপাতালের কর্ণধার রুদ্র নারায়ণ গুপ্ত জানিয়েছেন, জেলায় বেশি থেকে বেশি মানুষের পরীক্ষার পরিকাঠামো গড়ে তুলতেই বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক স্তরের মানুষের সোয়াব স্যাম্পল পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই উদ্দেশ্য নিয়েই সম্প্রতি আমাদের জানানো হয়েছিল আমরা হাসপাতালে রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে পারবো।

আমরা শুধু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী এবং একটি জায়গার যোগান দেব। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে টেস্টিং কিট সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যোগান দেওয়া হবে। ফলে এই পরিষেবাটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে থাকবে। যেখানে পরীক্ষা হচ্ছে তার পাশেই একটি বিশেষ জায়গা রাখা হবে। যদি কেউ পজিটিভ হন তাকে সেখানে প্রাথমিকভাবে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। যদি ব্যক্তিটি বাড়িতে চিকিৎসার জন্য অনুমতি পেয়ে যান তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় তাকে বাড়ি পাঠানো হবে। এই অনুমতি নিতে হলে যে ফর্মটি ফিলআপ করতে হয় সেটাও আমরা রাখবো।”

তিনি আরও বলেন, “আগামীতে আমরা হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু করতে চাইছি। এমনটা হলে যারা পজিটিভ হবেন তাদের এখানে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারব। তবে এটা নির্ভর করে স্বাস্থ্যবিভাগের অনুমতির ওপর। বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণত সীমিত শয্যা থাকে, তাই এই পরিষেবার ক্ষেত্রেও খুব বেশি শয্যা থাকবে না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাইছি এটা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নয়, পুরোপুরি করোনা চিকিৎসা পরিষেবা হবে।

একেবারে ক্রিটিকেল রোগীদেরও এখানে রেখে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের এব্যাপারে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে গেছে। তাই আগামীতে এই চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে আমরা সাধারণ মানুষকে আরো বেশি আশ্বস্ত করতে পারব।”

সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডাঃ সুদীপ জ্যোতি দাস এক নির্দেশে বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালকে রেপিড এন্টিজেন টেস্ট পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন। গ্রিনহিল ছাড়া বাকি যে হাসপাতালগুলোয় এই পরিষেবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, মেডিল্যান্ড হাসপাতাল, ভ্যালি হাসপাতাল, মেডিনোভা ডায়াগনোস্টিক হাসপাতাল, মৌসুমী হাসপাতাল, ইলোরা হাসপাতাল, বারোস মেমোরিয়াল ক্রিশ্চান হাসপাতাল আলিপুর, ইলোরা নার্সিংহোম, সাউথ সিটি হাসপাতাল, পলি ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম, কেসি নার্সিং হোম, গ্রেসওয়েল হাসপাতাল, লাইফলাইন হাসপাতাল, সুদীপ্তা নার্সিং হোম, রেডক্রস হাসপাতাল পার্ক রোড, আরই নার্সিং হোম অ্যান্ড ডাইনোস্টিক সেন্টার, নাইটেঙ্গেল হাসপাতাল, ইমানুয়েল হাসপাতাল পয়লাপুল, সুন্দরী মোহন সেবা সদন শ্রীকোনা, শিব সুন্দরী নারী শিক্ষাশ্রম, জীবন জ্যোতি হাসপাতাল সহ আরও অন্যান্য হাসপাতাল।

Comments are closed.