২৫ এপ্রিল থেকে আর করোনা হাসপাতাল থাকছে না শিলচর মেডিকেল কলেজ
সারাদেশে লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে পুরোপুরিভাবে করোনা চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত করেছিল রাজ্য সরকার। হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগ সতীন্দ্রমোহন দেব সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সঙ্গে শহরের ২১টি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসার কাজে লাগানো হয়েছিল। শনিবার হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শিলচার এসে ঘোষণা করেন যে, আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে আবার আগের মত স্বাভাবিক হাসপাতাল হিসেবে কাজ করবে শিলচর মেডিকেল কলেজ।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক এবং বরাক উপত্যকায় এখন আর করোনা আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি নেই বললেই চলে। কাছাড়ের আক্রান্ত ব্যক্তিকে এদিন দুপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। করিমগঞ্জের আক্রান্ত ব্যক্তিকে এ সপ্তাহেই ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শিলচরে এসে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে পুরোপুরিভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। সঙ্গে জেলার ২২টি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে মউ চুক্তি করে সাধারণ চিকিৎসা পরিষেবায় তাদের কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত বলেই হাসপাতালটিকে সাধারণ রোগীদের জন্য বন্ধ করা হয়। শুধুমাত্র শিশু ও মাতৃ বিভাগ, বার্ন ইউনিট, ট্রোমা এবং সাইকিয়াট্রি বিভাগ সেখানে রাখা হয়। মেডিকেল কলেজে মোট ১১০০টি শয্যা রয়েছে, এরমধ্যে ৫৫০টি করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। বেশ কয়েকটি বিভাগকে সতীন্দ্রমোহন দেব সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার ব্যাপকহারে করোনা ভাইরাস সনাক্ত করার বিশেষ কিট সংগ্রহ করতে চাইছে। এই কিটগুলোর মাধ্যমে ১০ মিনিটের মধ্যে কোন ব্যক্তির স্যাম্পল পরীক্ষা করে করোনা হয়েছে কিনা সেটা বলা সম্ভব। এটা পেয়ে গেলে ডাক্তাররা সাধারণভাবে কাজকর্ম করতে পারবেন। “আমরা আশা করছি ২২-২৩ এপ্রিলের মধ্যে এগুলো আমাদের হাতে চলে আসবে। এগুলো পেয়ে গেলেই ২৫ তারিখ আমরা শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সাধারণ রোগীদের জন্য খুলে দেবো।”
Comments are closed.