Also read in

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল', প্রভাব পড়তে পারে বরাক উপত্যকায় ও

বঙ্গোপসাগরের আবার কেন্দ্রীভূত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়, এবার নাম বুলবুল; ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে। তাই বরাক উপত্যকায়ও ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের।

১২০-১৫০ কিলোমিটার বেগে ‘বুলবুল’ আগামীকাল বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তারপর পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধাবমান হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। তবে ক্ষণে ক্ষণে গতিপথ এবং গতিবেগ পরিবর্তন হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়ের। গতিপথ পরিবর্তন করে বরাক উপত্যকার দিকে আসার সম্ভাবনা কম থাকলেও মাঝারি থেকে ভারি ধরনের বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হওয়া এই উপত্যকায় বয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম প্রভৃতি বন্দর গুলোতে চূড়ান্ত সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র সৈকত দীঘা, মন্দারমনি থেকে পর্যটকদের সরে আসতে মাইক্রোফোনে ঘোষণা করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় সবসময়ই বরাক উপত্যকাকে প্রভাবিত করে, এবারও তার ব্যাতিক্রম হবে মনে হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই আকাশের মুখ ভার, মেঘের আনাগোনা শুরু হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের নামকরণ নিয়ে কৌতূহল স্বাভাবিক। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের নামটি দিয়েছে পাকিস্তান। তবে অনেকেই জানেন না এই ঝড়ের নাম বুলবুল দেয়া হলো কীভাবে! একসময় ঝড়গুলোকে নানা নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হতো। কিন্তু সেসব নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হতো। ফলে সেগুলোর পূর্বাভাস দেয়া, মানুষ বা নৌযানগুলোকে সতর্ক করাও কঠিন মনে হতো।

এ কারণে ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোয় ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। সে সময় আটটি দেশ মিলে ৬৪টি নাম প্রস্তাব করে। সেসব ঝড়ের নামের মধ্যে এখন বুলবুল ঝড়কে বাদ দিলে আর ৫টি নাম বাকি রয়েছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। উদাহরণস্বরূপ ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আট দেশ।

দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ওমান । এই দেশগুলোর দেওয়া তালিকা থেকেই বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে সৃষ্ট ঝড়ের নাম নির্ধারণ করা হয়।

Comments are closed.