Also read in

ধেয়ে আসছে 'ফনী', প্রভাব পড়তে পারে বরাকেও

এতদঞ্চলে দিন দুটিকে ‘বারইয়া’ ‘তেরইয়া’ বলা হয়) প্রচন্ড ঝড়, তুফান,বৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে আজ বৈশাখের ১৩ তারিখ অর্থাৎ ‘তেরইয়া’ হলেও তেমন ঝড়-বৃষ্টি, তুফানের ইঙ্গিত নেই। ফলশ্রুতিতে, বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।স্থানভেদে কোথাও সাত ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়তি উষ্ণতা, বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য যুক্ত হয়েছে।

এই ভয়াবহ গরম থেকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে; যা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে ঝড়টির নাম দেয়া হয়েছে ‘ফনী’।

চেন্নাইয়ের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চয় করে ‘ফনী’ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আঘাত হানতে পারে। তবে এর গতিপথ সম্বন্ধে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত নন। আপাতত এটি তামিলনাড়ু উপকূলে আঘাত হানবে বলে মনে হচ্ছে। তারপর এটা ঘুরে গিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা বাংলাদেশ হয়ে মায়ানমারের দিকে ধেয়ে যেতে পারে।

এটি পরিণতি পেলে হয়ত গরম কমবে। তবে আতঙ্কের দিক হল- এটি ১১৫-১২০ কিলোমিটার বেগে বাতাসসহ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে। এর গতিপথ এত আগে নির্দিষ্ট করা সম্ভব নয়।

কিন্তু এন্টি ক্লকওয়াইজ (ঘড়ির বিপরীত দিক) পদ্ধতির হিসাবে এর গতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আরাকান মনে হচ্ছে।

যদিও ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলছে, ভারতের দক্ষিণের তামিলনাড়ু থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলে কম-বেশি এর প্রভাব পড়বে।

আগামী সোম-মঙ্গলবার নাগাদ এটি উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তার আগে পর্যন্ত এ গরম অব্যাহত থাকতে পারে।

Comments are closed.