চৈত্র মাসেই প্রচন্ড 'কালবৈশাখী' ঝড় ।
আজ সন্ধ্যার ঠিক প্রাকমুহূর্তে এক প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় সমগ্র বরাক উপত্যকার উপর দিয়ে বয়ে যায়।এই ঘূর্ণিঝড় এবং বৃষ্টির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাইলাকান্দি জেলা । এই ঝড় প্রায় আধঘন্টা ধরে তাণ্ডবলীলা চালিয়ে যায়।
এর ফলে হাইলাকান্দি জেলায় অনেক ঘর বাড়ি ভেঙে পড়েছে গাছপালাও ধরাশায়ী হয়েছে। বৈদ্যুতিক লাইনের উপরে বড় বড় গাছ ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হাইলাকান্দি শহরের পার্শ্ববর্তী নিশ্চিন্তপুর, মনাছড়া, আয়নাখাল, সরসপুর ইত্যাদি গ্রামেও বহু লোক এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। লালা এবং কাটলীছড়াতেও এই ঝড়ের ফলে প্রচুর লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এই সময়ে শিলচর এবং করিমগঞ্জেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অনেক জায়গায় গাছ ভেঙ্গে পড়েছে, কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। শিলচরে গাছপালা ভেঙ্গে পড়ার খবর পাওয়া গেলেও অন্য কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্রে জানা গেছে স্থানে স্থানে কাজ চলছে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
করিমগঞ্জ জেলায়ও অনেক গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে এবং সমগ্র জেলায়ই বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রায় স্তব্ধ হয়ে আছে।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে আগেই সমগ্র বরাক উপত্যকা জুড়ে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
Comments are closed.