Also read in

"দালাল রাজ": নাহাটা টেক্সটাইলসের সঞ্জু নাহাটা, প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার সহ এখন পর্যন্ত কাছাড়ে আটক পাঁচজন

আসামে দালাল রাজের সমাপ্তির সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি ইতিমধ্যে একটি বিবৃতি দিয়েছেন, “কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না” এবং পুলিশ তার সরাসরি নির্দেশে অনুসরণ করে কাজ করছে। এ পর্যন্ত পাঁচজন ‘তথাকথিত দালাল’কে কাছাড় থেকে আটক করা হয়েছে। বারাক বুলেটিন আজ সকালে খবরটি প্রকাশ করেছে। এখন লাখ টাকার প্রশ্ন, পুলিশ কি বড়সড় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নাকি সাধারণ কিছু লোকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এই অভিযান!

বারাক বুলেটিন এখন পর্যন্ত আটক ব্যক্তিদের তালিকা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। বরাক উপত্যকার অন্যতম বড় ব্যবসায়ী নাহাটা টেক্সটাইলের সঞ্জু নাহাটাকে আটক করা হয়েছে। শিলচর পুরসভার প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার অসীম দাসকেও আটক করা হয়েছে। তারা ছাড়াও নিশিকান্ত সরকার, অশোক সরকার এবং নুরুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পুলিশ এখন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, বেশ বড় ধরনের কয়েকজন চাঁই এখনও পলাতক তাদের আটক করার প্রয়াস চলছে।

“মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে, আসাম পুলিশের দলগুলি গত রাতে ৪৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে জমি বিক্রয়/ক্রয়/হোল্ডিং সম্পর্কিত বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকার ব্যাপারে গ্রেপ্তার করেছে এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছোট-বড় কাউকে রেহাই দেবো না” আসাম পুলিশের বিশেষ ডিজিপি জিপি সিং এই টুইট করেছেন।

শিলচরের একজন বড় হোটেল ব্যবসায়ীর নামও এই প্রসঙ্গে উঠে এসেছে এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনি এই মুহূর্তে পলাতক। পুলিশ এখনও তার হদিস খুঁজে পায়নি। বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে আটক ব্যক্তিদের তালিকায় আরো বড় বড় নাম আসতে পারে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এটি রাজস্ব (রেভিনিউ) অফিস, বন্দোবস্ত (সেটেলমেন্ট) অফিস দুর্নীতিমুক্ত করার করার একটি প্রচেষ্টা। যাতে সাধারণ জনগণ কমিশন ছাড়াই জমি ক্রয় -বিক্রয় করতে পারে।

Comments are closed.

error: Content is protected !!