Also read in

দাস কলোনিতে ভরদুপুরে টিপারের ধাক্কায় প্রাণ গেল এক ব্যক্তির, 'ভিলেন' বালি-পাথরের স্তূপ

রাস্তার পাশে রাখা মাটি-পাথর-বালির স্তুপ এবং দ্রুতগতিতে চলা টিপার-ট্রাক শহরের প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য মরণফাঁদ বানিয়ে রেখেছে। সংবাদমাধ্যম এব্যাপারে লাগাতার প্রতিবেদন লিখলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। শনিবার দুপুর বারোটা নাগাদ শহরের দাস কলোনি এলাকায় টিপারের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন ৫০ বছরের এক স্থানীয় ব্যক্তি। মৃত ব্যক্তির নাম প্রানতোশ মিত্র, বাড়ি দাস কলোনির ঈশানি-বাজিদআলী লেনে, তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ বাইক নিয়ে গলি থেকে বেরিয়ে এবং একটি রিক্সার সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তায় পড়ে যান প্রানতোশ মিত্র। অপর দিক থেকে বেশ খানিকটা দ্রুতগতিতে একটি টিপার গাড়ি আসছিল, সেটি তার উপরে উঠে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকাবাসীরা তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে ডাক্তাররা জানান তিনি আগেই মারা গেছেন।

ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শুধুমাত্র শীতের মরসুমে নয়, সারা বছর এলাকায় কিছু মানুষ বিল্ডিং কন্সট্রাকশনের নামে রাস্তার পাশে মাটি বালি-পাথর ইত্যাদি স্তুপ করে রাখেন। এমনও দেখা গেছে দিনের বেলা রাস্তার মাঝখানে ঠেলাগাড়ি সেই পাথর-বালি বোঝাই করছে, এতে ট্রাফিক জ্যাম হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এসব ব্যাপারে সরব হলে তাদের উপর পাল্টা চড়াও হন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ফলে সমস্যা সমাধান হয় না। এবার শীতের মরসুমে কাজের মাত্রা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে দিনের বেলায়ও মালবোঝাই টিপার এলাকায় ডুকছে। এতে অসময়ে প্রাণ হারালেন এলাকার এক ব্যক্তি। হয়তো ভবিষ্যতে এই ধারা বজায় থাকবে এবং টিপারের ধাক্কায় প্রাণ হারাতে হবে আরও নিরীহ ব্যক্তিদের, এমনটাই বলছেন এলাকার মানুষ।

এদিন ঘটনার পর পুলিশের একটি দল এলাকায় উপস্থিত হয় এবং চালক সহ গাড়িটি তুলে নিয়ে যায়। এলাকাবাসীরা তাদের কাছে অভিযোগ জানান রাস্তার পাশে স্তুপ করে রাখা বালি-পাথর ইত্যাদি সরানোর জন্য। মৃত ব্যক্তির পরিবারে তার স্ত্রী পুত্র-কন্যা সহ অন্যান্য রয়েছেন। ভরদুপুরে এমন ঘটনায় তাদের পরিবারের ব্যক্তিকে হারানোয় প্রত্যেকে শোকাহত।

Comments are closed.