
কাছাড় জেলার ডেপুটি কমিশনার ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকা অবস্থায় নিজের আদেশ লঙ্ঘন করে শতাধিক লোকের সভায় যোগ দিলেন
২৯শে নভেম্বর ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি অ্যান্ড কোরাস একটি বিবৃতি জারি করে প্রদীপ দত্ত রায়ের মুক্তির দাবিতে এবং জনগণকে দেশবিরোধী হিসাবে অভিযুক্ত করার প্রবণতার বিরোধিতায় ৩০শে নভেম্বর নাগরিকদের মিলিত হওয়ার কথা ঘোষণা করে । এই সমাবেশ আহ্বানের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কাছাড়ের জেলা শাসক কীর্তি জল্লি তার ক্ষমতাবলে কাছাড় জেলায় ১৪৪ ধারার অধীনে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেন যার মধ্যে কোনো ধরনের সমাবেশ ও ছিল।
ভারতীয় দন্ডবিধির ১৪৪ ধারা সাধারণত কোনো ধরনের দাঙ্গা বা বিশাল মিছিলের পটভূমিতে দেওয়া হয়ে থাকে। কাছাড়ে কোন দাঙ্গা ছিল না, কোন আন্দোলন ছিল না এবং প্রকৃতপক্ষে, রাস্তাগুলি যানবাহনে পরিপূর্ণ ছিল কারণ বাসিন্দারা তাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ত ছিলেন। সুতরাং, সন্দেহ করা হয়েছিল যে, সরকার কেবল প্রদীপ দত্ত রায়ের পক্ষে যে কোনও ধরনের আন্দোলনকে সীমাবদ্ধ করতে চায় এবং তাই ধারা ১৪৪ দেওয়া হয়েছিল। এই অনুমান নিয়ে কারও সন্দেহ থাকার কারন নেই কারণ জেলা শাসক নিজেই তা খোলাসা করে দিয়েছেন।
জেলা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করার প্রায় ১২ ঘন্টা পরে, তিনি নিজেই রাস্তায় শত শত লোকের সাথে একটি মিছিলে যোগ দেন। তার আদেশে বলা হয়েছে যে, ৫ জনের বেশি লোকের সভা সমাবেশ হতে পারবে না, তবে তিনি যে মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন সেখানে শত শত লোক ছিল।

তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে, উক্ত সভায় উপস্থিত থাকার মাধ্যমে তিনি তার নিজের আদেশ লঙ্ঘন করেছেন কি না, কাছাড়ের ডেপুটি কমিশনার, কীর্তি জল্লি বরাক বুলেটিনকে উত্তর দিয়েছিলেন, “ধারা ১৪৪ শুধু বেআইনী সমাবেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । হাই স্কুলে ছাত্রদের সাথে বৈঠকের পূর্ব অনুমতি ছিল৷ ”
এটি সোনাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূইয়া আয়োজিত একটি সভা ছিল। তিনি স্বাধীনবাজারে মহিলা মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সুতরাং, বাস্তবে এটি একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রদের সাথে মিটিং ছিল না। তাছাড়া, ব্যান্ডপার্টি সহযোগে প্রধান রাস্তা দিয়ে এক মিছিল ও হয়েছিল । অ্যাডভোকেট দুলাল মিত্র বলেন, “কোনও সন্দেহ নেই, এটি অবশ্যই সিআরপিসি লঙ্ঘন।”
তিনি যোগ করেছেন, “প্রথমত, কাছাড়ে কোথায় এতো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে! আমরা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করি। আসাম সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত নির্দেশে ডিসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রদীপ দত্ত রায়ের সাথে আমাদের কিছু আদর্শগত পার্থক্য থাকতে পারে তবে আমরা তার নির্বিচারে গ্রেফতার মানি না। এটি গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আক্রমণ। এটা সত্যিই খুবই আশ্চর্যজনক যে, জেলায় ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও ডিসি নিজে এবং বিধায়ক সমাবেশে সামিল হয়েছেন।”
আরেকজন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এবং বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সৌমেন চৌধুরী বলেন, “তিনি নিজেই নিজের আদেশ লঙ্ঘন করছেন। কাছাড়ের জেলা শাসক একটি আদেশ জারি করার পরে তিনি তার নিজের আদেশ মানতে পারেন নি ! তবে তিনি আশা করতে পারেন না যে অন্যরা তা মানবে। আগামীকাল, যখন অন্যরা তাকে অনুসরণ করে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করবে, তখন তাকেই দায়ী করতে হবে।”
এখানেও যে বিষয়টি সবচেয়ে মজার তা হল, জেলা শাসক ১৪৪ ধারা বলবৎ করার পরে আয়োজকরা নিজেরাই অনুষ্ঠানটি বাতিল করেছিলেন। একটি পাবলিক নোটিশ জারি করে সোনাইয়ের এআইইউডিএফ-য়ের মুখপাত্র বলেছিলেন যে, ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে, তাই অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হবে। এমনকি তারা মিডিয়ার লোকেদের ডেকে সভা বাতিলের কথা জানিয়েছিলেন। যাইহোক, এক ঘন্টার মধ্যে, “প্রশাসনের সাথে কথা বলে” তারা বাতিলের কথা প্রত্যাহার করেন এবং সভায় শত শত জনতাকে স্বাগত জানানো হয়।

What is also worth noting here is that the organisers had themselves cancelled the event after the Deputy Commissioner clamped 144. Issuing a public notice, the AIUDF Sonai’s spokesperson stated that as 144 has been clamped, the event will be postponed. They even called up media contingents and informed them about the cancellation. However, within an hour, they recalled the cancellation after “speaking with the administration.” And hundreds were welcomed in the meeting.
Comments are closed.