Also read in

২৪ আগস্ট বদরপুর এনকাউন্টারের ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত শুরু করলেন করিমগঞ্জের জেলাশাসক

গত ২৩ আগস্ট বিএসএফ এবং করিমগঞ্জ পুলিশ যৌথ অভিযানে একটি ট্রেন থেকে দুজন বন্দুকধারী কে গ্রেফতার করে। সে দিনই গভীর রাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া নুরুল ইসলাম বদরপুরের নিরালায় একটি এনকাউন্টারে মারা যান। এই এনকাউন্টার এরপর থেকেই বদরপুরের ওসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তারপরে এবার করিমগঞ্জের জেলাশাসক খগেশ্বর পেগু ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত শুরু করেছেন।

বরাক বুলেটিনের সঙ্গে কথা বলার সময় পেগু বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা সত্য। ঘটনাটি যে পরিস্থিতিতে ঘটেছে তা খতিয়ে দেখতে ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার আসল রহস্য ভেদ করতে নিরপেক্ষ তদন্ত করবেন।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এখন শুধু একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে‌। তাই আমি এবং কারও পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ভুল হবে। ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত শেষ করার পর, সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তারপর সঠিক প্রক্রিয়া মেনে তদন্তের সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হবে।’

সংঘর্ষের পর করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার, পদ্মনাভ বড়ুয়া বরাক বুলেটিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন, গভীর রাতে পাথারকান্দি এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম স্বীকার করেছে যে তার কাছে আরও অস্ত্র রয়েছে। যা রাখা হয়েছে একটি আস্তানায়। করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার জানান, নুরুল পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি দলকে বদরপুর থানার অধীনে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। এবং সেখানে সে একজন কনস্টেবলকে ধাক্কা দিয়ে তার বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পরে, সে গুলি চালাতে শুরু করে এবং পাল্টা জবাব হিসেবে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়। আর এতেই গুলিবিদ্ধ হয় নুরুল।

আহত অবস্থায় নুরুল ইসলামকে সঙ্গে সঙ্গে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তার মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়। নুরুল ইসলাম গুলি চালানোর সময় কোন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বরুয়া জানিয়েছিলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিটকে পড়ার সময় আহত হয়েছেন। তবে কেউ গুলির আঘাত পাননি।

এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, একজন ব্যক্তি যাকে অস্ত্র পাচারকারী বলে সন্দেহ করা হয়েছে, যার হাতে হাতকড়া পরা উচিত ছিল, সে কীভাবে কনস্টেবলকে ধাক্কা দিয়ে তার বন্দুক ছিনিয়ে নিতে পেরেছিল ? এ নিয়ে অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত। সে অনুসারে আসাম সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। এবং তা শুরু হয়েছে। তবে তদন্ত কি সব সন্দেহ মিটিয়ে দেবে? সময়ই এর জবাব দেবে।

Comments are closed.