Also read in

চতুর্থীর সন্ধ্যায় উধারবন্দ কালীবাড়ির অক্ষরধাম প্যান্ডেলের উদ্বোধন করবেন উপায়ুক্ত লায়া মাদ্দুরি

দূর্গা পূজার আর মাত্র হাতে গোনা দিন বাকি। জোর কদমে সেজে উঠছে মন্ডপ।প্রতিমায় শেষ তুলির টান পড়ছে। পূজা কমিটিগুলো ব্যস্ত মন্ডপ সজ্জ্বায় নতুনত্ব আনতে। উধারবন্দ কালীবাড়ির দুর্গাপূজা কমিটি প্রত্যেক বছরের মতো এবারও বিশেষ আকর্ষণে মন্ডপ সাজিয়ে তুলতে শেষ কাজটুকু সেরে ফেলছে। উধারবন্দ কালীবাড়ির দুর্গাপূজা প্রত্যেক বছরই মন্ডপসজ্জায় অনন্য হয়ে উঠে। ফলে দর্শনার্থীদের ভিড় সামলে ওঠা মুশকিল হয়ে যায়। এবারও ঐতিহ্য যাতে বজায় থাকে, সেদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে পূজা কমিটি।প্যান্ডেল এবং প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় ৮০% শেষ হয়ে গেছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন উধারবন্দ কালীবাড়ি রোড সার্বজনীন দূর্গা পূজা কমিটির সদস্যরা। কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্ত লায়া মাদ্দুরি আগামী ২ অক্টোবর অর্থাৎ চতুর্থীর দিন প্যান্ডেল এবং প্রতিমার উদ্বোধন করবেন।

এবারের পুজোয় দিল্লির অক্ষরধাম মন্দির প্যান্ডেলের মূল থিম হচ্ছে, তা আগেই জানানো হয়েছিল। প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে পাটকাঠির আঁশ দিয়ে। পুরো প্যান্ডেলের আলোকসজ্জা অক্ষরধাম মন্দিরের মতো হবে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়। সেই সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে লন্ডনের টেমস ব্রিজ। প্রতিমা তৈরিতেও রয়েছে নতুনত্ব। ধান ও নানা ধরনের শস্য ব্যবহার করে প্রতিমা গড়ে তোলা হচ্ছে।

৩০০ বিদেশি পাখি এবং ৩০ জোড়া কবুতর আনা হয়েছে মণ্ডপসজ্জার জন্য। প্যান্ডেলের অভ্যন্তর বিদেশি রঙিন পাখি দিয়ে সাজানো হবে। পাখির খাঁচা গুলো প্রাকৃতিক জিনিসপত্র দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে।উৎসবের সময় পাখিগুলোকে খাঁচায় বন্দী করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে একাংশ লোক প্রশ্ন তুলেছেন। এ ধরনের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর রায় বলেন, পাখিগুলোকে শিকার করে আনা হয়নি। এগুলো বহিরাগত পাখি, যা আমরা আইনসম্মতভাবে দোকান থেকে কিনে এনেছি। আমরা জঙ্গলে গিয়ে পাখি শিকার করিনি। সেই সঙ্গে পাখিগুলোকে প্যান্ডেলে আনার জন্য আমরা অনুমতি পেয়েছি।”

তিনি আরো বলেন, দুজন ব্যক্তিকে পাখিগুলোকে খাওয়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাখিগুলোর জন্য বিশেষ ধরনের খাবার আনা হয়েছে যা হজমের জন্য উপযুক্ত।” কিছু পাখি ফিরিয়ে দিলেও কমিটি আগ্রহী ক্রেতাদের কাছেও পাখিগুলো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে।এদিকে যেহেতু এবারের মন্ডপ জীবিত পাখিদের দ্বারা সাজিয়ে তোলা হয়েছে তাই দর্শকদের ফ্লাসলাইট ব্যবহার না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাই দর্শকদের কাছে বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, তারা যেন ক্যামেরা কিংবা মোবাইল দিয়ে মন্ডপের ভেতরে ফটো না তোলেন।

প্যান্ডেল ও প্রতিমা উন্মোচন হবে চতুর্থীর সন্ধ্যায়। উন্মোচন করবেন কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্ত নাম আদুরী এবং পুলিশ সুপার জ্যোতি মোহান্ত। দশমী দিন পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মন্ডপ খোলা থাকবে। দর্শনার্থীদের জন্য কুপনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে প্রবীণ নাগরিক ও প্রতিবন্ধীদের কোনও কুপন লাগবে না বলে জানানো হয়। এদিকে প্রসাদ বিতরণে এবার প্লাস্টিক বা থারমো কল ব্যবহার করা হচ্ছে না। তার পরিবর্তে স্টিলের প্লেট প্রসাদ বিতরণ করা হবে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিটির কার্যকরী সভাপতি রথিন্দ্র চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক শংকর রায়, কোষাধ্যক্ষ কল্যাণ ভট্টাচার্য্য, সহ-সম্পাদক সত্যজিৎ চৌধুরী সহ অনেকে। প্রতিবছরের মতো এবারও উধারবন্দের পুজোয় দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়বে বলে পুজো কমিটির কর্মকর্তারা আশা করছেন।

Comments are closed.