মেহেরপুরের একটি নর্দমা থেকে ৪১ বছর বয়সী মৃতদেহ উদ্ধার
আজ সকাল ৮ টা নাগাদ মেহেরপুর এলাকার লোকজন জীবন বিমা নিগমের প্রধান অফিসের পাশের নর্দমায় ফ্লাওয়ার মিলের উল্টো দিকেএকটি মৃতদেহ দেখতে পান। মৃতদেহটি ৪১ বছর বয়সী রাজু দাসের (স্বর্গীয় কানাই দাসের ছেলে) হিসেবে পরে সনাক্ত হয়। পুলিশ সূত্র আমাদেরকে জানায় যে রাজু দাস শিলচরের ন্যাশনাল হাইওয়ে রোডের রামকৃষ্ণ সরণির বাসিন্দা। স্থানীয় লোকেরা সকালে মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নর্দমা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
মৃতদেহ উদ্ধারের পর রাজু দাসের পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। উনার ছোট ভাই রাকেশ দাস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ সনাক্ত করে। রাকেশ দাস জানান যে তার বড় ভাই রাজু দাস গত কাল সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে যাননি। রাকেশ আরও জানান যে রাজু একজন মদ্যপ ব্যক্তি ছিলেন এবং প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপান করতেন।
পুলিশ সন্দেহ করছে যে রাজু মাতাল হয়ে রাস্তা থেকে পা পিছলে নর্দমায় পড়তে পারেন। বরাক উপত্যকায় বিগত কিছুদিন থেকে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং সব নর্দমা থেকে জল উপচে পড়ছে। এরকম অবস্থায় মাতাল হয়ে পা পিছলে নর্দমায় পড়াটা তাঁর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। পুলিশ সূত্র জানায় যে রাজু দাসের দেহে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই তাই খুনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে পুলিশ এই পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত না হয়ে পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের অপেক্ষা করছে। আরেকটি গুজব রয়েছে যে রাজু দাস এডিসি’র ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে এডিসি’র কোনো সুস্পষ্ট নাম পাওয়া যায়নি বা বর্তমানে তিনি কর্মরত আছেন কিনা সে ব্যাপারেও কিছু জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাটির প্রতি নজর রাখছে ।
Comments are closed.