সোনাই নদীতে ডুবে যাওয়ার চার দিন পর বরাকে ভেসে উঠল সুকুমার দাসের মৃতদেহ
৬৫ বছর বয়সী সুকুমার দাস সোনাই নদীতে (বরাকের একটি উপনদী) ডুবে মারা যাওয়ার চার দিন পর সোমবার সকালে নন্দপুর এলাকার বরাক নদীর ভাটিতে তার লাশ পাওয়া গেল। সোনাই থানাধীন ডুগরিপার ১ম খণ্ডে অবস্থিত নিজ বাড়ি থেকে সোনাই নদীতে জল আনতে যাওয়া সুকুমার দাস নদীর স্রোতের টানে ডুবে মারা যান। এই ঘটনাটি ১৫ ডিসেম্বর ঘটেছিল এবং এসডিআরএফ ডুবুরিদের উদ্ধার অভিযানের পরেও মৃতদেহটি খুঁজে পাওয়া যায় নি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এলাকায় বিশুদ্ধ জলের অভাব এই বৃদ্ধ ব্যক্তিকে নদী থেকে জল আনতে বাধ্য করে যার ফলে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটে।
১৫ ডিসেম্বর, ৬৫ বছর বয়সী সুকুমার দাস বাড়ির কাজের জন্য সোনাই নদী থেকে জল আনতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ কলসি হাত থেকে পিছলে জলে পড়ে গেলে তিনি কলসি ধরতে নদীতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু জলের স্রোত এবং পিচ্ছিল পলিমাটির জন্য তিনি ডুবে যান। তার শ্যালিকা এটা দেখে তাকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ও ব্যর্থ হয়।
পরে পুলিশকে জানানো হয়। এসডিআরএফ কর্মীরা একটি উদ্ধারকারী নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কিন্তু অনেক তল্লাশীর পরেও মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
চার দিন পর নন্দপুর এলাকায় বরাকের জলে ৬৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকায় অপ্রতুল জল সরবরাহের জন্য ঐ বৃদ্ধ নদী থেকে জল আনতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় পিএইচই গত তিন মাস ধরে এলাকায় জল সরবরাহ করেনি, যার কারণে শিশুসহ এলাকার লোকজন নদী থেকে জল আনতে বাধ্য হচ্ছেন।
Comments are closed.