সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, শনিবার কাছাড়ের দুজনের কোভিড-মৃত্যু , মেনে নিল ডেথ অডিট বোর্ড
করোণা সংক্রমণে সমগ্র রাজ্যের মৃত্যুর সংখ্যা ইদানিং বেড়েই চলেছে, মৃত্যু বাড়ছে বরাক উপত্যকায় ও। শনিবার কাছাড় জেলার দুজনের মৃত্যুর কারণ কোভিড, মেনে নিল রাজ্য স্তরের ডেথ অডিট বোর্ড । রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও এক টুইটে এই দুইজনের করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
শনিবার যে দুজন মারা গেলেন, এরা হলেন শিলচর দেশবন্ধু রোডের ৭৩ বৎসর বয়স্ক লীলা পাল এবং কালাইন খাসিয়া পুঞ্জির ৪৩ বছরের মর্নিং পুলেং । এই নিয়ে কাছাড় জেলায় কোভিড-মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল চার। এর আগে আসাম রাইফেলসের এক জওয়ান এস কে ওয়াগলে এবং শিলচর সেন্ট্রাল রোডের বিমল পাল ও করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারান।
এদিকে, হাইলাকান্দির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত ৭০ বছরের মিলন সেনগুপ্তের ও শনিবার মৃত্যু ঘটে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সরকারি সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার অপর এক কোভিড পজিটিভ ব্যক্তি শিলচর মধুরবন্দ এলাকার ৬৫ বছর বয়স্ক শরিফ উদ্দিন বড়ভূঁইয়ার মৃত্যু ঘটে হাসপাতালে । তবে, এদের দুজনের মৃত্যুর কারণ কোভিড নয়, জানায় ডেথ অডিট বোর্ড।
শনিবার, বরাক উপত্যকায় ১০৮ জনের দেহে কোন সংক্রমণ ধরা পড়ে; কাছাড় জেলার ৫৫ জন, করিমগঞ্জের ৪৬ এবং হাইলাকান্দির ৭ জন । কাছাড় জেলায় শনিবার কোভিড আক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন, শিলচর শিলংপট্টির সৌমেন্দ্র পন্ডিত, পার্ক রোডের স্বপ্না শর্মা, অম্বিকাপট্টি ইসকন মন্দিরের সংলগ্ন এলাকার সন্দীপ চন্দ, বিলপার এলাকার সমরেন্দ্র পাল, রাধামাধব রোডের রাধারানী কংস বণিক, আতাল বস্তির দেবরাজ রায়, দুধ পাতিল এলাকার আলহাজ হোসেন লস্কর, ঘুঙ্গুর এলাকার ঋষিতা দাস, সতন নুনিয়া, গণেশ নুনিয়া, রংপুরের নিবারণ নাথ, শ্রী কোনা এলাকার সুমন দাস, হিলাড়ার সুজিত দাস; শিলচর মেডিকেল কলেজের ডাঃ বি লোচন, ডাঃ জ্যোতি কুমারী, ডাঃ অপরাজিতা দত্ত, টুনটুন বাসফর, মিল্কি বর্মন, সিজারুল ইসলাম লস্কর।
Comments are closed.