খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করাতে হিন্দু ধর্মের অবমাননা!হিন্দু সংগঠনের অভিযোগের পর আটক দুইজন
হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা শিলচরের ভাষা শহিদ লেনের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের অভিযোগে তারাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে দুই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
‘হিন্দু রক্ষী বাহিনী’র কর্মীরা রোববার বিকেল ৪টা নাগাদ ভাষা শহীদ লেন থেকে তারাপুরের বাসিন্দা নিতু গোয়ালা ও শির্সা বাগদি নামে দুই মাঝবয়সী মহিলাকে ঘেরাও করে। তারা এমপ্লিফায়ারে বাইবেলের বার্তা শুনিয়ে শুনিয়ে এবং লিফলেট (বাইবেলের বিষয়বস্তু সহ) বিতরণ করে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য লোকেদের আহ্বান জানায়।
তারাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে এই দুই মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তারাপুর এলাকার বাসিন্দা হিন্দু রক্ষা বাহিনীর কর্মী বিজয় নাথের বক্তব্য অনুযায়ী, নিতু গোয়ালা এবং শির্সা বাগদি একটি অ্যামপ্লিফায়ারে খ্রিস্টান ধর্মের বার্তা বাজিয়ে বাসিন্দাদের খ্রিস্টধর্ম অনুসরণ করার আহ্বান জানায় কারণ তাদের মতে খ্রিস্টধর্ম উচ্চতর। এই মহিলারা মানুষের মধ্যে লিফলেটও বিলি করছিলেন। এই কর্মী আরও অভিযোগ করেন যে, এই মহিলারা বাসিন্দাদের প্রলুব্ধ করে বলেছিল যে তারা ঈশ্বর লাভের জন্য খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করলে তারা মানসিক শান্তি পেতে পারেন। বিশ্বাসের সাহায্যে নিরাময়ের মত ধারণাও দুই মহিলা প্রচার করেছিলেন।
“তারা অ্যামপ্লিফায়ারে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার করছিল এবং স্থানীয়দের বলছিল পূজা বা এই ধরনের কিছু করতে হবে না; তাদের ঈশ্বর এবং বিশ্বাস উচ্চতর,” বিজয় নাথ বলেছিলেন। “তাদের প্রচার হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে, এটি হিন্দুদের জায়গা, এখানে তারা এরকম কিছু করতে পারে না।”
তারা নগদ অর্থ ও উদ্ধার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে, তারা ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য লোকেদের অর্থ দিয়ে প্রলুব্ধ করছিল।
তারাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আনন্দ মেধী বরাক বুলেটিনের সাথে আলাপকালে জানান, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। “এটা আমাদের নজরে আনা হয়েছে। আমরা জড়িত উভয় মহিলাকে আটক করেছি এবং বিষয়টি তদন্ত করছি,” ওসি মেধী বলেন।
Comments are closed.