১০৪ নম্বরে ফোন করলে প্রয়োজন অনুসারে ওষুধপত্র বাড়িতে পৌঁছে দেবে প্রশাসন
লকডাউনের মধ্যে ক্ষেত্রবিশেষে প্রয়োজন অনুসারে ওষুধপত্র বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। কারোর যদি কোন ওষুধ সহজলভ্য না হয়, শহরে কিংবা নিজের গ্রামে ওষুধটি খুঁজে না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই ওষুধ রোগীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে ১০৪ নম্বরে ফোন করে নিজের প্রয়োজনীয় ওষুধের কথা জানাতে হবে এবং এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লকডাউনের মধ্যে অনেকেই অতি প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র নিজের গ্রামে কিংবা নিজের শহরে খুঁজে পাচ্ছেন না। অনেক সময় বৃদ্ধ মা-বাবা একা থাকার ফলে কিংবা ছেলেমেয়েরা অনেক দূরে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।বিষয়টি প্রশাসনের নজর কাড়ে এবং অনেক স্বাস্থ্যকর্মীর এধরনের ঘটনার বিষয়ে রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন এই বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।
এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে প্রথমে দেখা হবে হাসপাতালে সে ওষুধ মজুদ রয়েছে কিনা কিংবা জেলার ভেতরে ওষুধটি সহজলভ্য কিনা। ওষুধটি যদি জেলার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে স্বাস্থ্যকর্মী সেই একই দিনে বাড়িতে গিয়ে ওষুধ পৌঁছে দেবেন। অন্যথায় সেই নির্দিষ্ট ওষুধ গুয়াহাটি থেকে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ৪৮ ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন পড়তে পারে।
অন্যদিকে জানা যায়, যে ওষুধগুলো হাসপাতালের ইমার্জেন্সি লিস্টে সহজলভ্য থাকবে না সেগুলো সরবরাহ করতে কিছু প্রাইভেট ফার্মেসির সঙ্গে চুক্তি করা হবে। সেক্ষেত্রে ওইসব ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
নিয়ম অনুসারে ১০৪ নম্বরে ফোন করে নিজের প্রয়োজনীয় ওষুধের কথা জানালে সঙ্গে সঙ্গে মেসেজটি পৌঁছে যাবে জেলা প্রশাসনের স্বাস্থ্য বিভাগে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তখন সেই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রেসক্রিপশন সংগ্রহ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সেই ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।এক্ষেত্রে প্রথমে হাসপাতালে যে ওষুধ মজুদ থাকবে তার মধ্য থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।কাজেই কোন কোন সময় একই ব্র্যান্ডের ওষুধ নাও হতে পারে। তবে হাসপাতালে যদি পাওয়া না যায় সে ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ওষুধ নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে।
আরো জানা যায়, এ ধরনের পদক্ষেপকে ফলপ্রসূ করে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে টিম বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.