Also read in

বৃহন্নলাদের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের হিংসাত্মক পরিণতি, শারীরিক নিগ্রহের পর এজাহার দায়ের

শিলচর সদরঘাট সেতুর উপরে তিনজন বৃহন্নলাকে নৃশংসভাবে মারপিটের ঘটনা ঘটলো গতকাল সন্ধ্যায়। বিবদমান দুই গোষ্ঠী নন্দিনী সাহা হিজড়া গোষ্ঠী এবং অঞ্জনা সরকার হিজড়া গোষ্ঠীর অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে; কারণ ইতিমধ্যে অঞ্জনা সরকার হিজড়া এবং তার দলের বিরুদ্ধে থানায় প্রাথমিক এজাহার দায়ের করেছে নন্দিনী সাহা গোষ্ঠী।

অতি সম্প্রতি নন্দিনী সাহা হিজড়ার সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ৭০ জন হিজড়ার একটি দল শিলচর আসে যার নেতৃত্বে রয়েছেন “৪০,০০০ হিজড়ার গুরু” পিপাসা হালদার । তারপর থেকে অঞ্জনা সরকার হিজড়ার দল গা-ঢাকা দেয়। অভিযোগ সত্য হলে, এবার তারাও নড়েচড়ে বসেছে।

পিপাসা হালদারের অভিযোগ অনুযায়ী গতকাল অঞ্জনা সরকার, তামান্না এবং সোনালী হিজড়া পরিকল্পনা করে তাদের দলের তিন জনকে আক্রমণ করে। আহতরা হলেন কুলমতি হিজড়া, শিউলি রায় হিজড়া এবং কালিদাস হিজড়া। হালদারের অভিযোগ অনুযায়ী, “এই তিনজন বাজার করার জন্য সন্ধ্যা ছয়টার সময় সদরঘাট সেতুর উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন একটা মারুতি ভ্যান এসে দাঁড়ায়। অঞ্জনা, তার দলবল ও কিছু দুষ্কৃতিকারী যারা মোটরসাইকেলে এসেছিল তারা তিনজনের পথ আটকায় এবং মারধর শুরু করে। আমরা পুলিশের কাছে এর বিচার চাইছি,”বলেন পিপাসা ।

“এই তিন-চারজনের হাড়গোড় ভেঙে দেওয়া আমাদের ৭০ জনের কাছে ১০ মিনিটের ব্যাপার। প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে পারি, কিন্তু আমরা এটা চাই না। আমরা চাই উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান”, হলেন পিপাসা হালদার।

এখানে উল্লেখযোগ্য, নন্দিনী সাহা এবং তাদের দলের বিরুদ্ধে শিলচর দাস কলোনি এলাকার পাঁচ মাসের শিশুকে অপহরণের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে একটি এফআইআর ইতিমধ্যে দায়ের করা হয়েছে।

এখন দেখা যাক, পুলিশ এবং প্রশাসন এই ঘটনা নিয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বৃহন্নলাদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ এবং বাইরে থেকে নতুন করে বৃহন্নলা দলের আগমনকে আগামী দিনের জন্য শহরের নাগরিক জীবনে এক অশনি সংকেত বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক।

Comments are closed.