কোভিড সংক্রমণ রুখতে শিলচর সোনাই রোডের হোটেল কমফোর্ট এবং সংলগ্ন এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করল জেলা প্রশাসন
করিমগঞ্জ জেলার রামকৃষ্ণ নগর,বালিরবন্দ এলাকার ২৪ বছর বয়স্ক সাহিনুল হক এবং সামসুল আলমের দেহে কোরনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গতকাল। তাদেরকে যেখানে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছিল সেই হোটেল কমফোর্ট এবং সংলগ্ন এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করে সিল করলো জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনের তরফ থেকে এক নির্দেশে জানানো হয়েছে যে, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে সোনাই রোডের হোটেল কমফোর্ট এবং তৎসংলগ্ন ভৌগলিক এলাকা যার উত্তরে নোভা কমপ্লেক্স দক্ষিনে আরকেবি হার্ডওয়ার পূর্বে সোনাই রোড এবং পশ্চিমে রেন্টেড ফ্যামিলি কলোনি, তা-ও সিল করে দেওয়া হল।
এই নির্দেশ অনুযায়ী, বৈধ অনুমতি ব্যতীত কাউকে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে বা বের হতে দেওয়া হবে না, কোন ধরনের যানবাহন ও চলাচল করতে পারবে না ।
জেলা উপায়ুক্ত কীর্তি জাল্লি, আইএএস স্বাক্ষরিত আসাম কোভিড-১৯ রেগুলেশন,২০২০ অনুযায়ী এই আদেশ প্রদান করা হয় যা ১৯মে অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত এগারোটা থেকে বলবৎ হয়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রামকৃষ্ণ নগর নিবাসী এই দুজন মুম্বাই থেকে এসেছিলেন। শিলচরে রামনগর আইএসবিটি’র রিজিওনাল স্ক্রীনিং সেন্টারে তাদের সোয়াব এর নমুনা সংগ্রহ করে তাদেরকে সোনাই রোডের হোটেল কমফোর্টে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, এই দুইজনের শরীরে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ার পর বরাক উপত্যকায় এখন পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ য়ে। বর্তমানে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩ জন।
উদ্বেগজনক ভাবে, সমগ্র রাজ্যে একদিনে সর্বোচ্চ ৪২ জন সংক্রমিত হোন মঙ্গলবার, যা নিয়ে সমগ্র রাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫৭; এরমধ্যে ১১০ জন সক্রিয় ভাবে রোগী। তবে, বেশিরভাগ রোগী কোয়ারেন্টাইন থাকা অবস্থায় শনাক্ত হওয়ায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম।
Comments are closed.