জেলা আদালত মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে প্রদীপ দত্ত রায়ের জামিন মঞ্জুর করেছে, আজই ঘরে ফিরতে পারেন
আইনজীবী সৌমেন চৌধুরি জেলা ও দায়রা জজের আদালতে প্রদীপ দত্ত রায়ের মামলার বিষয়ে নিজের যুক্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বলেন যে শিলচরে এবং বিশেষত শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মধ্যে কোভিড রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং তার মক্কেলের কোভিড সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যিনি মূলত মেডিক্যাল কাস্টডিতে রয়েছেন।
এখানে উল্লেখ করা যায়, প্রদীপ দত্ত রায়কে গত ২৭ নভেম্বর কাছাড় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এরপর তাকে গত ৩ ডিসেম্বর মেডিক্যাল কাস্টডিতে পাঠানো হয়, যখন তার আইনজীবী চৌধুরী যুক্তি দেখিয়ে বলেন যে একজন লিভার ট্রান্সপ্লান্ট রোগীর আরও ভালো চিকিৎসার সুবিধা পাওয়া প্রয়োজন যা কিনা শিলচর সেন্ট্রাল জেলে পাওয়া সম্ভব নয়।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজের আটজন ডাক্তার দুই দিনে কোভিড পজিটিভ হয়েছেন এবং কোভিড রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু প্রদীপ দত্ত রায় একজন লিভার ট্রান্সপ্লান্ট রোগী তাই তিনি যদি কোভিড আক্রান্ত হন, তাহলে তার জীবনের ঝুঁকি হতে পারে। আর তাই পুলিশ কেস ডায়েরি দাখিল না করা পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেন।
এখানে আরো উল্লেখ করা যায়, প্রদীপ দত্ত রায়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে, হিন্দু যুব পরিষদের দায়ের করা এক অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যেখানে তাকে 124 A (দেশদ্রোহী) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরপর আরো একটি মামলা রয়েছে তার উপর, যেখানে তারাপুর টাউন ফাঁড়ির আইসি অভিযোগ করেন যে প্রদীপ দত্ত রায় ২৭ নভেম্বর গণমাধ্যমকর্মীদের লাঞ্ছিত করেছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা সহ অন্যান্য আরও অভিযোগ চাপানো হয়েছে। আদালত ১০ ডিসেম্বর একটি কেস ডায়েরি এবং ১৫ ডিসেম্বর আরেকটি মামলার কেস ডায়েরি তলব করেছে।
আজ শুনানি শেষে কাছাড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক প্রদীপ দত্ত রায়ের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রদীপ দত্ত রায়কে আজ রাতে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হবে। গত ২৬ নভেম্বরের পর আজ প্রথমবারের মতো প্রদীপ দত্ত রায় বাড়িতে রাত কাটাবেন।
Comments are closed.