নববর্ষ, বিহু উৎসবে জেলার মৎস্য দপ্তরের বিশেষ উদ্যোগ, খুচরো বিক্রেতারা বাড়ি বাড়ি নিয়ে যাবেন মাছ
কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি । তাই বাঙালিদের নববর্ষ উৎসব উপলক্ষে তাদের পাতে মাছ তুলে দিতে এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলার মৎস্য বিভাগ।
কাছাড়ের মৎস্য উন্নয়ন আধিকারিক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সকালে দুই ঘন্টার জন্য ফেরিওয়ালার মাধ্যমে দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে মাছ বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছে। কোভিড ১৯ এর জন্য লকডাউন চলাকালীন শিলচর শহর এলাকার সাতটি স্থান থেকে মাছের পাইকারি বিক্রেতারা তাদের ড্রাইভার এবং যানবাহন নিয়ে ১০-১৫ জন ফেরিওয়ালার মাধ্যমে সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দুই ঘন্টা মাছ বিক্রি করতে পারবেন। স্থানীয় তাজা মাছ শুধু বিক্রি করতে পারবেন তারা।
আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশ কার্যকরী হবে বলে জানানো হয়। তবে নির্ধারিত নিয়ম নীতির উপর ভিত্তি করেই সংশ্লিষ্টদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাজেই নিয়ম লংঘন করা হলে কিংবা অনুমতির অপব্যবহার করা হলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুসারে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রুই কাতলা এবং মৃগেল প্রতি কেজি ওজনের কম হলে ৩০০ টাকা দর হবেl অনুরূপভাবে এক থেকে দুই কেজি ওজনের এই মাছ ৩৫০ টাকা করে, ২ কেজি ওজনের অধিক হলে ৪০০ টাকা প্রতি কেজি হবে l গ্রাসকার্প, সিলভার কার্প এবং কমন কার্প মাছ ১ কেজির কম হলে ২৫০ টাকা এবং এক কিলোর বেশি হলে ৩০০ টাকা, শাল , কই এবং শোল মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, এবং লকেল শিঙ্গি মাগুর ৫০০ টাকা প্রতি কেজি ধার্য করা হয়েছেl খুচরো বিক্রেতারাদের জন্য এই মাছ বিক্রয়ের মূল্যতালিকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে l
যে সব পাইকারি বিক্রেতাদেরকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন সুনীল চন্দ্র দাস ,প্রফুল্ল দাস ,হরলাল দাস, রামকৃষ্ণ দাস ,বিমল দাস ,হরিধন দাস ,এবং সন্তোষ কুমার রায় l শহরের সাতটি স্থানে এই পাইকারি বিক্রেতারা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে মাছ বিক্রয় করবেন। খুচরো বিক্রেতারা দুপুর পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাছ বিক্রয় করতে পারবেন।
Comments are closed.