যৌতুকের বলি অগ্নিদগ্ধ সেই গৃহবধূ অবশেষে মারা গেলেন
যৌতুকের বলি অগ্নিদগ্ধ সেই গৃহবধূ অবশেষে মারা গেলেন
লালার টান্টু গ্রামে স্বামীর হাতে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ সোমানা পারভিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হার মানলেন । শুক্রবার রাতে বাবার বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ।
এর আগে এদিন বিকেলে লালা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ও কাটলিছড়ার ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক জেমস আইন্ড টান্টু গ্রামে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জানা গেছে, মৃত্যুর আগে মহিলা সরাসরি তার স্বামী বদরুল ইসলামকে দায়ী করেছেন। লালা পুলিশ মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করে শুক্রবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। যদিও ননদ ফরিদা বেগমকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। লালা থানার ওসি এম ইসলাম জানান , গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ননদের কোনো যোগসূত্র তদন্তে পাওয়া যায় নি। যার দরুন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত এক অক্টোবর হাইলাকান্দি জেলার লালা থানাধীন টান্টু গ্রামে যৌতুকের দাবিতে এই গৃহবধূকে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে শরীরের নব্বই শতাংশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। ঘটনাটি এক অক্টোবর রাতে ঘটলেও তিন অক্টোবর রাতে তা পুলিশের দৃষ্টিগোচরে নিয়ে আসা হয়েছিল। এরপর বুধবার রাতে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী লালা থানায় অভিযোগ করে বলেন, তার বিবাহিত বোন সোমানা পারভীন চৌধুরী (২৩)কে স্বামী বদরুল ইসলাম ও ননদ ফরিদা বেগম মিলে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি এজাহারও জমা দেন। কর্মসূত্রে জাহাঙ্গীর মুম্বাই রয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে তিনি দ্রুত বাড়ি ছুটে আসেন এবং থানায় মামলা করেন। এজাহারের ভিত্তিতে লালা পুলিশ ৪৮২/১৮ নম্বরে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮(এ)/ ৩০৭ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছিল।
এদিকে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর ভাই পুলিশের কাছে আগেই অভিযোগ করে বলেছিলেন, মাত্র ন’মাস আগে সামাজিক ভাবে একই এলাকার বদরুল ইসলামের সাথে সোমানা পারভীনের বিয়ে হয়। কিন্ত বিয়ের পর থেকেই স্বামী বিভিন্ন যৌতুকের দাবি করে বার বার তার বোনকে উত্যক্ত করছিল।
Comments are closed.