Also read in

উৎকোচ গ্রহণের দায়ে তদন্তের মুখে হাইলাকান্দির যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক ডাঃ অভিজিৎ  বসু

একজন  নার্সের কাছ  থেকে দশ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের মুখে পড়লেন হাইলাকান্দি স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক  ডাঃ অভিজিৎ বসু। হাইলাকান্দি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালকের উৎকোচ গ্রহণের ভিডিও ও ওডিও  সামাজিক মাধ্যমে  ফাঁস হয়ে যাওয়ায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।।  বিভিন্ন সংস্থা সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘুষ  কান্ডের তদন্তের দাবি উঠে।বিষয়টি বর্তমানে ছুটিতে লন্ডনে অবস্থানরত জেলা শাসক আদিল খানেরও  দৃষ্টিগোচর হয় ।  আদিল খানের সুপারিশে সাথে সাথেই ভারপ্রাপ্ত ডিসি এফ আর লস্কর তদন্তের নির্দেশ দেন।। ভারপ্রাপ্ত জেলা  শাসক এফ আর লস্করের নির্দেশে ইতিমধ্যে হাইলাকান্দির চক্র আধিকারিক ত্রিদীপ রায় তদন্ত শুরু করেছেন।।

উল্লেখ্য,সম্প্রতি হাইলাকান্দি স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডাঃ অভিজিৎ বসুর উৎকোচ আদায় করার ভিডিও ও অডিও রেকর্ডিং ফাঁস করে বরাক ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ফ্রণ্ট (বিডিএসএফ) নামের একটি সংগঠন।  যা সাথে সাথেই সোসিয়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়  ।হাইলাকান্দি স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালকের বিরুদ্ধে তদন্তক্রমে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের  দাবি তুলে স্মারকপত্র দেন  বিডিএসএফের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল আহাদ লস্কর।  স্মারকপত্রে  আব্দুল  আহাদ অভিযোগ  করে বলেন,
একজন নার্সকে সরকারি কোয়ার্টারের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য দশ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করেন হাইলাকান্দি স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডাঃঅভিজিৎ বসু । উৎকোচ আদায় করার দৃশ্য ভিডিও তে স্পষ্ট দেখা গেছে। আরও দশহাজার টাকা দেওয়ার জন্য ডাঃ অভিজিৎ বসু দরকষাকষি করার রেকর্ডিংও স্পষ্ট শোনা গেছে।উৎকোচ আদায় করে বসু পকেটে যে ঢোকাচ্ছেন তাও ভিডিওতে দেখা গেছে।আরও দেখা গেছে নিজের ছেলের মতো মনে করে কিছু রেহাই দেওয়ার জন্য আকুল আর্জি জানাচ্ছেন উৎকোচ দাতা। এতেও বরফ গলেনি। ডাঃ অভিজিৎ কর্ণপাত করেননি।পুজোর আগে ২১ অক্টোবরের মধ্যে বাকি টাকা দিতে বলেন। জানান যে ঐদিন তিনি কার্যালয়ে থাকবেন।এরপর চলে যাবেন।

হাইলাকান্দি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তার উৎকোচ আদায়ের ঘটনা হাতেনাতে ধরে ঘটনার তথ্য প্রমাণ তুলে ধরে বিডিএসএফর কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ লস্কর, মোহাম্মদ আলি লস্কর প্রমুখ অভিযোগ করে বলেন,হাইলাকান্দি স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডাঃ অভিজিৎ বসুর সীমাহীন দুর্নীতিতে হাইলাকান্দিতে এই বিভাগ প্রায় অচল হয়ে পড়েছে । এদিকে বিডিএস এফের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাথে সাথেই তদন্তের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত ডিসি এফ আর লস্কর।  সার্কল অফিসার ত্রিদিপ রায়কে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা  দিতে বলা হয়।।

অন্যদিকে উত্তাপিত অভিযোগ সম্পর্কে যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক অভিজিৎ বসুর মতামত জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বলেন,  এটা  বছর পুরনো একটি ভিডিও।  যা কাটলিছড়া হাসপাতালের সামগ্রী ক্রয়ের জন্য নেওয়া হয়েছিল।। এ প্রসঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট  ত্রিদীপ রায়   জানান, তার তদন্ত প্রক্রিয়া  সম্পন্ন হয়ে উঠেছে।  ভারপ্রাপ্ত ডিসি এফ আর লস্করের হাতে তদন্ত প্রতিবেদন তিনি শীঘ্রই তুলে দেবেন বলে জানান ।

Comments are closed.