"চিকিৎসক অরুন পাল চৌধুরী হৃদরোগে আক্রান্ত হননি," জানালেন ডাঃ আহমেদ
পিপিই কিট পরে দীর্ঘক্ষন থাকায় হয়তো অস্বস্তি বোধ করছিলেন এবং এতেই অসুস্থ হয়েছিলেন বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুন পাল চৌধুরী, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হননি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিশ্রামের জন্য তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আহমেদ হোসেন চৌধুরী।
শুক্রবার দুপুরে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অরুন পাল চৌধুরী। একসময় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়। ধারণা করা হয়েছিল তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তিনি দ্রুত সেরে ওঠেন এবং সন্ধ্যেবেলা তাকে বাড়ি পাঠানো হয়।
হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আহমেদ হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, “চিকিৎসক অরুন পাল চৌধুরী হূদরোগে আক্রান্ত হননি, যদিও প্রাথমিকভাবে এমনটাই ধারণা করেছিলাম আমরা, তবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এটা হার্ট অ্যাটাক নয়। তিনি এখন বিপদমুক্ত এবং বাড়িতেই রয়েছেন।”
ডাঃ আহমেদ হোসেন চৌধুরী একটু কড়া ভাষায় ভুল সংবাদ প্রচারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “শুধুমাত্র একতরফা তথ্য সংগ্রহ করে এভাবে প্রচার করা ঠিক নয়। আমি চিকিৎসক হিসেবে আজ পুরো দিন তার সঙ্গে ছিলাম। সন্ধ্যেবেলা যখন দেখেছি তিনি বিপদমুক্ত, তাকে বাড়িতে থেকেই বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।”
পারিবারিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, মেডিকেল কলেজে পিজি স্তরের পরীক্ষা চলছে। তিনি এই প্রক্রিয়ায় বিশেষ দায়িত্ব পালন করছিলেন। এখন হাসপাতালে যেকোনও কাজেই যোগ দেবার আগে চিকিৎসকরা পিপিই লাগিয়ে নেন। চিকিৎসক অরুন পাল চৌধুরীও এই ধারা বজায় রেখে এদিন পিপিই কিট লাগিয়ে কাজ করছিলেন। হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে, মাথা ঘুরায়; তখন অন্যান্য চিকিৎসকরা তাকে সামলান। প্রাথমিক লক্ষণে চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আহমেদ হোসেন চৌধুরীকে ডাকা হয়। আইসিউতে রেখে তার পরীক্ষা করানো হয়। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি সেরে ওঠেন এবং পরীক্ষায় জানা যায় তার হার্ট অ্যাটাক হয়নি। তবে তার বয়সের কথা চিন্তা করে বাড়িতেই বিশ্রামের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
Comments are closed.