
শিলচর গ্রীন হিলস হাসপাতালে ডাঃ দিবানাথ চক্রবর্তী করলেন বরাকের 'প্রথম ব্রেন টিউমার অপারেশন'
ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়, এই প্রবাদ বাক্যকে বাস্তব রূপ দিলেন প্রখ্যাত নিউরো সার্জন ডক্টর দিবানাথ চক্রবর্তী। ডক্টর চক্রবর্তী ভিজিটিং সার্জন হিসেবে শিলচর মেহেরপুরের গ্রীন হিলস নার্সিংহোমে এই জটিল অপারেশন সাফল্যের সঙ্গে সম্পাদন করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার শিলচরে এর আগে সম্ভব হয়নি।
গ্রীন হিলস হাসপাতালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর রুদ্র নারায়ণ গুপ্ত এই সফল অপারেশনকে ‘গর্বের মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ” ডক্টর চক্রবর্তী এবং তার দল, যাতে ছিলেন ডাক্তার পি আর বিষ্ণু এবং ডঃ অভিজিৎ দাস, এই জটিল অপারেশন সম্পাদন করতে যথেষ্ট সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে এক বড় ব্রেন টিউমার সফলতার সঙ্গে এই মহিলার ব্রেইন থেকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সীমিত টেকনিক্যাল রিসোর্স নিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলা হলো।”
কাছাড় জেলার নরসিংপুর এলাকার বাসিন্দা চল্লিশ বছর বয়সী বিজুলি নাথ প্রচন্ড মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং দৃষ্টিক্ষীণতার অভিযোগ নিয়ে ডঃ চক্রবর্তীর কাছে আসেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রতীয়মান হয় যে বিজুলি নাথের ব্রেইন টিউমার হয়েছে। ” আমি উনার স্বামীকে বললাম, ব্যাঙ্গালুরুতে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে, উনি সেখানে স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পারবেন কিনা, অন্যথায় এখানে শিলচরেই একটা চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। বিজুলির স্বামী স্পষ্টতই জানালেন যে, আর্থিক অসঙ্গতির জন্য তারা চিকিৎসার জন্য ব্যাঙ্গালোরে যেতে পারবেন না; যা করতে হয় শিলচরেই করতে হবে।” সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন ডক্টর দিবানাথ চক্রবর্তী।
গত ৫ এপ্রিল এই জটিল অপারেশন সফল ভাবে সম্পাদন করতে প্রায় ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছিল।বিজলী পাঁচ দিন আইসিইউতে ছিলেন, পরবর্তীতে তাকে ওয়ার্ডে আনা হয় । সব মিলিয়ে গ্রীন হিলস হাসপাতলে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছিল নয় দিন । বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ বিজলি নাথ সাংবাদিক সম্মেলনে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
Comments are closed.