Also read in

অরিজিৎ বড়ভূইয়াকে নিজ হাতে ভ্যাকসিন দিয়ে কাছাড়ে ১৫-১৮ বয়সীদের টিকাদানের সূচনা করলেন সাংসদ ডাঃ রাজদীপ রায়

সারাদেশে এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ । এর মধ্যে ওমিক্রন নামের নতুন ভ্যারিয়ান্ট উদ্বেগের কারণ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।

এইরকম পরিস্থিতিতে, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম আরোপ করছে এবং টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় নতুন সংযোজন করেছে। এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) স্পষ্ট করে বলেছে যে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় টিকাদান অভিযান জোরদার করতে হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৫ ডিসেম্বর ঘোষণা করেছিলেন যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দান করা হবে। তার ঘোষণা অনুযায়ী, আজ থেকে সারা দেশে অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকাদান অভিযান শুরু হয়েছে।

কাছাড় জেলায়, শিলচরের সাংসদ ডাঃ রাজদীপ রায় শিলচরের নরসিং স্কুলে এই কর্মসূচির সূচনা করেন। সাংসদ নিজে টিকার গুরুত্বের উপর জোর দেন এবং অভিভাবকদেরকে তাদের ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করে এই অভিযানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।

শিলচরের বিধায়ক, দীপায়ন চক্রবর্তীও সাংসদের বক্তব্যের প্রতিধ্বনী করেন এবং প্রেসের সদস্যদের সহ ফ্রন্টলাইন কর্মীদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন কারণ তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করার সময় তাদেরকে ও কোভিড ভাইরাসের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তিনি জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন।

প্রথম নাবালক হিসেবে অরিজিৎ বড়ভূইয়া নামের কিশোরকে টিকা দেওয়া হয়। বড়ভূইয়াকে শিলচরের সাংসদ ডাঃ রাজদীপ রায় নিজ হাতেই প্রথম ডোজ টিকা দেন । বড়ভূইয়ার সাথে, ডাঃ রায় আরও নয়জন কিশোর কিশোরীকে প্রথম ডোজ টিকা দেন এবং কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সাংসদ স্বয়ং প্রদীপ্ত সেনাপতি, আকাশ কীর্তনিয়া, রাহুল দাস, রাজা নুনিয়া, অন্তরা দেব, নীলাঞ্জনা দাস, পূর্বালি শোম, বিশাল নাথ, দেবলিনা ভট্টাচার্যকে টিকা দিয়েছিলেন বলে নরসিং স্কুলের অধ্যক্ষ রতন পাল জানিয়েছেন।

কাছাড় জেলার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (এনএইচএম) মিডিয়া বিশেষজ্ঞ সুমন চৌধুরী জানিয়েছেন যে, “কার্যসূচীটি শিলচর শহরের গভর্নমেন্ট বয়েজ স্কুল, ডিএনএনকে স্কুল এবং নরসিং স্কুলে শুরু হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার ১২টি স্কুলে ও ইতিমধ্যে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে৷ সামগ্রিকভাবে, জেলার ১৬৮টি সরকারি স্কুলে টিকাদান অভিযান পরিচালনা করা হবে,” চৌধুরী জানান।

বিভাগের অনুমান অনুযায়ী, বর্তমান কর্মসূচিতে ১৫-১৮ বছর বয়সী ১,১৩,০০০ কিশোর কিশোরী টিকা পাওয়ার যোগ্য। তাদের মধ্যে প্রায় ৫৬,০০০ আগামী মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

Comments are closed.