Also read in

ইনডোর সচিব পদে ত্রিমুখী লড়াই, রেফারি সচিব নিয়ে টাউন ক্লাবের সংসারে অশান্তি

শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ইনডোর সচিব পদের লড়াই বেশ জমে উঠেছে। বর্তমান ইন্ডোর সচিব সঞ্জু রায় কে কড়া চ্যালেঞ্জ জানাতে মাঠে নেমে পড়েছেন অনিমেষ চন্দ। এবার এই লড়াইয়ে যোগ দিলেন প্রাক্তন শাটলার নবেন্দু সিনহা। ফলে ইন্ডোর সচিবের লড়াইটা এবার ত্রি্মুখী হতে যাচ্ছে।

বেশ কিছু সময় থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে  উধারবন্দ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (ইউ এস এ)। দুটি পক্ষ ইউএস এর টাইটেল রাইটস দাবি করে আসছে। এর মধ্যে পুরনো কমিটি থেকে ডি এস এ তে জেনারেল কাউন্সিল মেম্বার হিসেবে এসেছেন বর্তমান ইনডোর সচিব সঞ্জু রায়। অবশ্য এটা নতুন কিছু নয়। সঞ্জুই ডি এস এতে ইউএস এর প্রতিনিধিত্ব করেন। এ নিয়েই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল ইউএসএ’র নতুন কমিটি। এছাড়া ইনডোর সচিব হিসেবেও সঞ্জুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই সঞ্জু। এটাকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন অনিমেষ ও নবেন্দু।

অনিমেষ শাসক গোষ্ঠীর লোক। ফলে ত্রিমুখী লড়াইয়ে এটা তাকে অনেকটাই এগিয়ে রাখছে। সঞ্জুকে সমর্থন করছে বিরোধী শিবির। কান পাতালেই শোনা যায় সঞ্জু নাকি সভাপতি বাবুল হোড় লবির লোক। অংকের হিসাবে পিছিয়ে থাকলেও নবেন্দু কিন্তু খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।

অন্যদিকে, ডি এস এর রেফারি সচিবের পদ নিয়ে টাউন ক্লাবের সংসারে অশান্তি লেগে গেছে। ডি এস এর বর্তমান  রেফারি সচিব তপন দাস অনেক বছর ধরে এই পদে রয়েছেন। তিনি টাউন ক্লাবের প্রতিনিধি। তবে এবার তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসেছেন টাউন ক্লাবেরই সহকারী সচিব (স্পোর্টস) সমর রায়। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করে নিতে চেয়েছিলেন ক্লাবের সভাপতি দিলীপ নন্দী। কিন্তু বিফলে যায় তার এই প্রচেষ্টা। এরপর তিনি ক্লাবের দুই সদস্যকে নিজেদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। তপন দাস ও সমর রায় দুজনেই সভাপতির এমন ফরমান মেনে নিয়েছেন। তবে জানা গেছে এখন পর্যন্ত কেউই ইস্তফা দেননি।

টাউন ক্লাবেরই বিকাশ দাস আবার শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল সচিবও। তাকে এখন পর্যন্ত কেউ চ্যালেঞ্জ জানাননি। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল বিভাগ নিয়েই সবচেয়ে বেশি কাজ করা জরুরি। কারণ দিনের পর দিন শিলচরের ফুটবলের মান নিম্নমুখী হচ্ছে। ফুটবলের চর্চাই যেন শেষ হয়ে গেছে। অথচ গ্রামেগঞ্জে এখনো প্রতিভার অভাব নেই। তারপরও শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা সেইসব প্রতিভাকে তুলে আনতে চরম ব্যর্থ হয়েছে। তাই ফুটবল নিয়ে অনেক কাজ করার জায়গাটা কিন্তু রয়ে গেছে। ‌ এতসবের পরও ফুটবল সচিব পদের জন্য কেউই আগ্রহী নন! এই একটা তথ্যই কিন্তু বলে দিচ্ছে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থায় যারা জেনারেল কাউন্সিল মেম্বার হয়ে এসেছেন তাদের খেলাধুলার প্রতি সদিচ্ছা কতটা !

Comments are closed.