
পূর্ণাঙ্গ থানা হিসেবে যাত্রা শুরু করল ধোয়ারবন্দ আউটপোস্ট, আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থাকছে এর আওতায়
কাছাড় জেলায় নতুন থানা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো ধোয়ারবন্দ আউটপোস্ট। আগে পিআইসি স্তরের পুলিশ পয়েন্ট ছিল এটা, মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে একে থানা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এক ছোটোখাটো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে থানা উদ্বোধন হয়। এতে যোগ দেন বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, ডিআইজি দিলীপ কুমার দে, জেলাশাসক কীর্তি জাল্লি, পুলিশসুপার বিএল মিনা সহ অন্যান্যরা। স্থানীয় ১২টি গাঁও পঞ্চায়েত এলাকা সহ আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থাকছে এর আওতায়।
এব্যাপারে পুলিশসুপার বিএল মিনা বলেন, “এবার থেকে পূর্ণাঙ্গ থানা হিসেবে কাজ করবে ধোয়ারবন্দ আউটপোস্ট। আগে এটা পিআইসি স্তরে ছিল এবং শিলচর থানার অধীনে কাজ করত। একইভাবে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিপিপি এবার থেকে ধোয়ারবন্দ আউটপোস্টের অধীনে কাজ করবে। তাদের এখন আর শিলচর যেতে হবেনা, ফলে শিলচরের ওপরেও চাপ কম থাকবে, আর দূরত্ব কম থাকায় এলাকায় কাজের গতি বাড়বে। পুলিশ বাহিনীকে শক্ত করে তুলতে সরকারের তরফে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এরই সঙ্গে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ আটকে দিতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। বিশেষ করে ধলাই সমষ্টিতে মিজোরাম সীমান্ত থেকে আসা অনেক অপরাধমূলক কাজ সামাল দিতে হয় পুলিশকে। অতিরিক্ত থানা হওয়ায় এই কাজে এখন গতি বৃদ্ধি পাবে।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “পুলিশ পাবলিক এবং পলিটিশিয়ান, সবগুলো শব্দ ‘পি’ দিয়ে শুরু হয়। এর অর্থ আমরা একে অন্যের পরিপূরক। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসে কাছাড়ে কয়েকটি থানা উদ্বোধন করেছেন, আগামীতে বাকি থানাগুলোকেও উন্নত করা হবে। বিশেষ প্রকল্পের নামে রাখা হয়েছে মৈত্রী অর্থাৎ সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের মৈত্রীর সম্পর্ক হবে। পুলিশ আমাদের বন্ধু, আমাদের যে কোনও বিপদ হলে পুলিশকে ডাকি। আমাদের সামনে কেউ দুর্ঘটনায় আহত হলে, কারও বাড়িতে চুরি হলে বা কোনও মহিলার শ্লীলতাহানি হলেও পুলিশকেই খবর দিতে হয়, তারা আমাদের বিপদের বন্ধু। আমাদের সরকার চায় রাজ্যের পুলিশ দেশের অন্যতম সেরা বাহিনী হোক এবং এই উদ্দেশ্যে একের পর এক কাজ চলছে। আজকে এই থানা আত্মপ্রকাশ করেছে, এতে ব্যক্তিগতভাবে আমার লাভ হবে, কেননা ধলাই সমষ্টিতে এতদিন শুধুমাত্র একটি থানা ছিল। এবার বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং সাধারণ মানুষ উৎসাহ নিয়ে পুলিশের সহায়তা করতে পারবেন।”
এদিন প্রথমে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর থানার ফলক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন অতিথিরা। তারা নিজেদের ভাষণে নানান গুরুত্বপূর্ণ কথা উল্লেখ করেন।
Comments are closed.