'পুলিশ সুপার সিণ্ডিকেটের টাকা খান', এবার অভিযোগ বিধায়ক রাজদীপ গোয়ালার
শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পালের পর এবার পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুললেন লক্ষীপুরের বিধায়ক রাজদীপ গোয়ালা সহ জেলা কংগ্রেসের সদস্যরা। “কাছাড় জেলায় আইন ব্যবস্থা তলানিতে পৌঁছেছে, একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে, ড্রাগসের রমরমা, কয়লা ইত্যাদি সামগ্রির সিণ্ডিকেট, সব চলছে অবাধে খোলাখুলিভাবে। এসব হচ্ছে পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে, তিনি সব দেখেও চুপ থাকেন। কারণ এসব থেকে তার বিশেষ আর্থিক লাভ হয়”,এমনটাই অভিযোগ বিধায়ক রাজদীপ রায়ের।
শনিবার দূর্বা পাল ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি নিয়ে হওয়া এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে জেলা কংগ্রেসের সদস্যরা অংশ নেন, সেখানে তারা কথাগুলো উল্লেখ করেন।
রাজদীপের বয়ান অনুযায়ী, তার নিজের বিধানসভা এলাকায় মনিপুর থেকে ড্রাগস সহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য পাচার হচ্ছে। এসব সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে তরুণ যুবকদের হাতে। তার প্রমাণ সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া বেশ কয়েকটি মৃতদেহ,এদের ড্রাগস ওভারডোজ এর দরুন মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এসব নিয়ে আমরা বারবার সরব হয়েছি। সাধারণ মানুষ পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন জানিয়েছেন। তবে আশ্চর্যরকম ভাবে পুলিশ কোনো পদক্ষেপই নেয়নি।” “পুলিশের সর্বোচ্চ আধিকারিক হলেন পুলিশ সুপার, এত কিছুর পরেও ড্রাগস এর মতো একটি বিষয়কে কেন তিনি উপেক্ষা করেন তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। তবে কি অন্যান্য সিণ্ডিকেটের মতো ড্রাগস পাচারের সিণ্ডিকেট থেকে টাকার অংশ পান তিনি?” প্রশ্ন তুলেন লক্ষীপুরের বিধায়ক।
সঙ্গে বলেন, “তার বিরুদ্ধে কথা বললে তিনি হয়তো আমাদের আইনের ভয় দেখাবেন। তবে বিশেষ কিছু রাজনৈতিক প্রণোদিত ঘটনা ছাড়া পুলিশকে কোনও মামলার নিষ্পত্তি করতে আমরা দেখিনি। অন্তত রাকেশ রোশন পুলিশ সুপার হওয়ার পরে তো নয়ই। বিজেপি সরকার বারবার দুর্নীতি নিয়ে কত কথা বলে, নিজেদের স্বচ্ছ বলে ফলাও করে প্রচার করে, তবে সম্প্রতি আমরা দেখলাম সরকারপক্ষের বিধায়ক হয়েও দিলীপ পাল এসবের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। একটা সরকার কতটুকু দুর্নীতি করলে নিজের দলের বিধায়ক মুখ খুলতে বাধ্য হন তা আমাদের বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। সিণ্ডিকেটরাজ দিনের পর দিন বাড়ছে, লক্ষ লক্ষ টাকা বেসরকারিভাবে পুলিশ সুপারের মতো সরকারি আধিকারিক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের কাছে চলে যাচ্ছে। আমার ধারণা এসবের পিছনে রয়েছেন পুলিশ সুপার রাকেশ রোশন।”
Comments are closed.